ক্যান্সার থেকে বাঁচতে, যকৃত পরিষ্কার রাখতে এগুলিই যথেষ্ট
কলকাতা টাইমস :
যকৃত সুস্থ রাখতে কোন খাবারগুলো উপকারী সেগুলোই তুলে ধরা হল স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
বিটরুট: শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করতে অনন্য এই সবজি। এর শরবত কিংবা সুপ বানিয়ে গ্রহণ করলে এতে থাকা ভোজ্য আঁশ অটুট থাকে, সেই সঙ্গে মেলে ভিটামিন সি’য়ের গুণাগুণ। এভাবে পান করলে বিটরুট ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ হিসেবে কাজ করে। হজম সহায়ক এনজাইম ‘বাইল’ নিঃসরণকারী গ্রন্থিগুলোকেও সুরক্ষা দেয় বিটরুট। ফলে ‘বাইল’ পাতলা হয় এবং খাবার সহজে হজম হয়।
বেরি বা জাম-জাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম, রাসবেরি ইত্যাদি সবই এ ধরনের ফলের তালিকায় পড়ে। যার সবগুলোই যকৃতের জন্য উপকারী। যকৃতের নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষ থেকে রক্তে এনজাইম নিঃসরণে বাধা দেয় এই ফলগুলো। এছাড়া এই ফলগুলো বিপাকীয় গতি বাড়ায়, যকৃতে চর্বি জমা রোধ করে এবং পুরো হজমতন্ত্র থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণে সহায়তা করে।
রসুন: যকৃত পরিষ্কার সবচাইতে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান সম্ভবত রসুন। প্রতিদিন মাত্র এক কোঁয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস যকৃতে বয়ে আনবে জাদুকরি পরিবর্তন। রসুনের এই কার্যকারিতার কারণ হল উচ্চমাত্রার ‘সেলেনিয়াম’, যা যকৃতের এনজাইমের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও রসুনের ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, যকৃতে চর্বি জমাও রোধ করে।
‘ক্রুসিফেরাস’ সবজি: সবুজ ‘ক্রুসিফেরাস’ সবজি যেমন- ফুলকপি, বাঁধাকপি বা ব্রকলিতে থাকে উচ্চমাত্রার লৌহ, ভিটামিন ও ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’। এগুলো ছাড়াও এতে থাকে ‘গ্লুকোসিনোলেট’, যা যকৃতকে বিষাক্ত উপাদান নিঃসরণকারী এনজাইম তৈরিতে এবং নিজেই নিজের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে। ‘ক্রুসিফেরাস’-ধরনের সবজি ছাড়াও সবুজ পত্রল শাকসবজিও এই কাজে সহায়ক।