September 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বিনা পয়সার এই খাবারটি ডায়াবেটিস রাখবে নিয়ন্ত্রণে, কমাবে আপনার ওজন

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
মাদের শরীরে যেমন রোগ দিয়েছেন, তেমনই তা নিরাময়ের জন্য প্রকৃতিতে দিয়েছেন বিশেষ কিছু গাছ। যে গুলোকে আমরা ঔষুধি গাছ বলি। এমন কিছু গাছ প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন, যে গাছ মাঠে-ঘাঠে, আনাচে-কানাচে জন্ম নিয়ে বাড়তে থাকে। তেমনই একটি গাছ ঘৃতকুমারী। যার ঔষুধিগুণ আপনার শরীরের ওজন কামানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিসকেও নিয়ন্ত্রণ রাখে। আসুন জেনেই নেই ঘৃতকুমারীর গুণগুলো।
জন কমায়:  ঘৃতকুমারীর পাতার ভেতরের শাঁস জলের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে। ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ: ঘৃতকুমারীর জুস ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়বেটিক রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা: নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া ডায়েরিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। ক্লান্তি-অবসাদ দূর: নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের ক্লান্তি-অবসাদ দূর করে শক্তি যোগানসহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ফিব্রোমিয়ালজিয়া প্রতিরোধ : যারা দীর্ঘকাল ফিব্রোমিয়ালজিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
দূষিত পদার্থ অপসারণ : শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
ব্যথা ও প্রদাহ দূর : ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংসপেশীর জোড়াগুলোকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে। একজিমা দূর: ঘৃতকুমারীর শাঁস প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে একজিমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুড়ে গেলে: কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা পাতার শাঁস ঐ জায়গায় লাগলে চট জলদি আরাম পাওয়া যায়। ফলে ফোসকা পড়ে না এবং চামড়ায় দাগ হয় না। মেছতা প্রতিরোধ: মুখের মেছতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দিলে ত্বক নরম হয় এবং ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না। মুখের মেছতা খুব গুরুতর হলে ঘৃতকুমারীর রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান। প্রতিদিন দু’বার, প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার। এছাড়া ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু ও একটি ছোট শসা মিশিয়ে মাস্ক করুন বা মেছতার ওপর রেখে দিন। মেছতা দূর হবে।
কোমরে ব্যথা: কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
ব্রণের দাগ: ঘৃতকুমারীর রস ব্রণের দাগ সারাতে খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে। এর কাজ হচ্ছে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখা।

Related Posts

Leave a Reply