এই অজানা রহস্যেই জীবন বৃথা
কলকাতা টাইমস :
জীবনের ক্যানভাসকে অভিজ্ঞতার নানা রঙে রঙিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের সকলের জন্ম হয়েছে। আপেক্ষা শুধু সেই সময়ের, যখন আমরা আমাদের জীবনের লক্ষকে খুঁজে পাব। আর যেদিন এমনটা হবে, সেদিন যে নিমেষে চারপাশটা বদলে যাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় জীবনের লক্ষ? এক্ষেত্রে একটু নিজের ভেতরে উঁকি মেরে দেখতে হবে। তবেই মিলবে উত্তর। কিন্তু সে সময়টুকু কার হাতেই বা আছে বলুন! সবাই যে চোখে কাপড় বেঁধে অন্ধের মতো রেসের মাঠে দৌড়ে চলেছে। তাই আমরা সবাই অখুশি এক লক্ষহীন মিসাইল, যা লক্ষের সন্ধানে একের পর এক সীমানা পেরিয়ে চলেছে। তবে আর নয়, এবার সময় এসেছে নিজের মধ্যেকার সেই আগুনকে জনসমক্ষে নিয়ে আসার। আর এই কাজে বোল্ডস্কাই বাংলা তার পাঠকদের সাহায্য করতে পারে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন! চলুন সত্যের সন্ধানে বেরিয়ে পরা যাক!
কথা নয় কাজ চাই: ভাবতে ভাবতে সময় যায় ফুরিয়ে। তবু মেলে না উত্তর। তাই তো বেশি না ভেবে সামনে যেমন যেমন সুযোগ আসছে, তেমন তেমন কাজ করতে থাকুন। একদিন দেখবেন ঠিক লক্ষে পৌঁছে গেছেন। কারণ এক জায়গায় বসে থাকলে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। তার জন্য অনেক বাঁধা পেরতে হয় বন্ধুরা! মনে রাখবেন, “অভিজ্ঞতাই হল আসল সম্পদ, যা ভাঙিয়েই লক্ষে পৌঁছাতে যায়।” তাই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে থাকুন। এক সময় আলোর সন্ধান ঠিক পেয়ে যাবেন।
মস্তিষ্ককে নয়, কাজে লাগান হৃদয়কে: জীবনের লক্ষ জানতে হৃদয়ের থেকে ভাল বন্ধু আর কেউ হতে পারে না। তাই যুক্তির জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে একটু মনের কথা শুনুন। দেখবেন আজ নয় তো কাল ঠিক সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। তবে তার আগে নিজেক প্রশ্ন করুন, কীসে আপনি আনন্দের সন্ধান পান? বারে বারে এই প্রশ্নটা নিজেকে করতে করতে একদিন দেখবেন ঠিক বুঝে গেছেন কোন কাজ করে আপনার মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর এমনটা যেদিন ঘটবে সেদিন আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে আপনার জীবনের লক্ষ। তবে সেদিন থেকে কিন্তু নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে। তাহলেই দেখবেন মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। একবার ভাবুন তো চেতন ভগত যদি আজও বহুজাতিক কোম্পানিতে বড় পদে চাকরি করে যেতেন তাহলে কী আর এত বড় মাপের লেখকে হয়ে উঠতে পারতেন। হয়তো নয়!তাই মনের কথা শুনুন। দেখবেন আপনার লক্ষ বেশিদিন আপনার থেকে দূরে থাকতে পারবে না।
একটা নয়, হতে পারে অনেক কিছু: আমারা সবাই মনে করি আমাদের জীবনের লক্ষ হয়তো একটা নির্দিষ্ট কিছু। কিন্তু এমনটা অনেক ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। এমন অনেককে চোখের সামনে দেখতে পাবেন আপনারা, যারা একাধিক কাজ করে খুশি পান। তাই নিজেকে উল্টে পাল্টে দেখুন কিসে আপনি খুশি হন। সেটা কোনও একটা জিনিস হতে পারে, বা একাধিক, তাতে কোনও ক্ষতি নেই! খুশির কারণটা খুঁজে পাওয়াই আসল ব্য়াপার। যেমন, গন্ধীজির কথাই ধরুন। তিনি বেরিস্টার হিসেবে খুশি ছিলেন। কিন্তু নিজের জীবনের লক্ষ খুঁজে পেলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দলেনর অংশীদার হয়ে। তাই নিজেকে গণ্ডির মধ্যে না আটকে স্বাধীন হন। হাতের কাছে যা সুযোগ পাচ্ছেন তাই করুন। এমন করতে করতেই একদিন দেখবেন ঠিক পৌঁছে গেছেন চাঁদের দেশে।
আবেগ+ উদ্যোগ= সফল জীবন: জীবনকে উপভোগ করুন। প্রতিটি কণাকে, প্রতিটি মুহূর্তকে উফভোগ করুন। এমনটা করতে করতেই দেখবেন সেই খুশির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন য়ার সন্ধানে আপনি এতটা সময় কাটিয়েছেন। সহজ কথায়, প্রথমে ভেবে নিন কোন ধরনের কাজ করতে ভাললাগে। তারপর সেই ধরনের কাজ খুঁজে লেগে পরুন যুদ্ধে। তাহলেই দেখবেন দিনের শেষে ঝোলা ভরে গেছে খুশিতে। সেই কারমেই না বলা হয়েছে, “সপছন্দের কাজ আর উদ্য়োগের মধ্য়েই লুকিয়ে রয়েছে সফল জীবনের চাবিকাঠি।” এই পরামর্শগুলি মেনে জীবনে যদি একটু পরিবর্তন আসে, তাহলে আমাদের জানাতে বুলবেন না যেন। আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে অপেক্ষায় থাকলাম বন্ধুরা…