November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মন খারাপের সময় চা খেয়েই দেখুন!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ন খারাপের সময় ধোঁয়া ওঠা এক পেয়ালা চা পান করলে নাকি নিমেষে মন ভালো হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক শারীরিক উপকারিতাও। সম্প্রতি ডেইলি মেলে- এ প্রকাশিত এই গবেষণা পত্রে আরও বলা হয়েছে যে, চা পাতায় এমন কিছু উপাদান থাকে, যা মনকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার এতটা বাড়িয়ে দেয় যে সামগ্রিক কগনিটিভ পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি তো বাড়েই। সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বৃদ্ধি।

কিন্তু চায়ের সঙ্গে ব্রেনের ক্ষমতা বৃ্দ্ধি বা মন ভালো হয়ে যাওয়ার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? 

গবেষকরা জানাচ্ছেন, চায়ের ভেতরে ক্যাফেইন এবং থিয়েনাইন নামক দুটি বায়োলজিকাল এজেন্ট থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দিনের শুরুতে এক কাপ চা না পেলে কেমন যেন হাঁপিয়ে ওঠে শরীরটটা, তাই না? একেবারেই! কিন্তু একথা কি জানা আছে যে প্রতিদিন কয়েক পেয়ালা চা পান করলে মনের পাশপাশি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কারণ এই পানীয়টি নানাভাবে শরীরের গঠনে কাজে লাগে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। চায়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে ক্লান্তি দূর করার পাশপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই যেমন ধরুন লাল চায়ে থিয়োফিলাইন নামে একটি উপাদান থাকে। এটি শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করতে দারুন কাজে দেয়। এখানেই শেষ নয়, এই পানীয়টির আরও অনেক উপকারিতাও আছে।

রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক কাপ লাল চা বা গ্রিন টি খাওয়া শুরু করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। কারণ চা পাতার অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ধমনীর ওপর তৈরি হওয়া চাপকেও কমায়। ফলে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে একেবারেই সময় লাগে না।

স্ট্রেস কমায় : চায়ে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

হাড়কে শক্তপোক্ত করে : লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিকালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ওজন হ্রাস করে : লাল চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়।

শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে : এক সময় মনে করা হত যেসব পানীয়তে ক্যাফেইন রয়েছে, তা দেহের অন্দরে জলের ঘাটতি মেটাতে পারে না, উল্টে শরীরকে শুকিয়ে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে এই ধারণা ঠিক নয়। কারণ বাকি তরলের মতো চাও শরীরকে শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রোগ-ভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : প্রতিদিন চা পান করলে হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে। কারণ এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্য়াস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : একদম ঠিক শুনেছেন। প্রতিদিন কয়েক কাপ লাল চা আপনাকে এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। আসলে এই পানীয়তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ সহ এমন কিছু উপাদান, যা লাং, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, লাল চা শরীরের যে কোনও অংশে ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : নানাবিধ অসুস্থতার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে চা। আসলে এই পানীয়তে টেনিস নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে সহজে কোনও রোগ ধারে কাছেও আসতে পারে না।

হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে : হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকায় এই পানীয়টি মস্তিষ্কে রক্তচলাচলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস কমে। প্রসঙ্গত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে এক মাস টানা যদি লাল চা খাওয়া যায়, তাহলে পারকিনস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।

Related Posts

Leave a Reply