করোনা কালে ‘হলুদ-আদা চা’ কি করতে পারে জানেন
আসলে কী?
নামেই পরিষ্কার হয় এতে কী কী থাকে। আদাকুচি আর হলুদের গুঁড়া একই সঙ্গে চায়ে ফোটানো হয়। বিজ্ঞানে ‘জিঞ্জিবার অফিসিনালে (আদা)’ এবং ‘কারকিউমা লঙ্গা’ (হলুদ) বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ঔষধি খাদ্য উপাদান। খুবই শক্তিশালী হারবাল এগুলো।
প্রাচীনকাল থেকেই এগুলোর উপকারিতার কথা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। দুটিতেই রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যার পুরোটা মিলবে এই চায়ের মাধ্যমে। সালফিউরিক উপাদানসহ, সাইটোকেমিক্যাল, কারকিউমিন আর জিঞ্জেরলের সঙ্গে যোগ হবে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার আর জিংকের মতো অতি জরুরি খনিজ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই চা ক্রনিক পেইন, হজমে সমস্যা, অ্যাংজাইটি, ইনফ্লামেশন, ডায়াবেটিস, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, দুর্বল রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা, আলঝেইমার্স, রক্তস্বল্পতা, সোরোসিস ও একজিমার মতো সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
হৃদযন্ত্রের যত্ন
কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, আদা ও হলুদ দুটিরই কোলেস্টেরলের মাত্রা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। এই কোলেস্টেরল ধমনি ও রক্তবাহী নালিকে সরু করে দেয়। ফলে যেকোনো মানুষের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই চা নিয়মিত খেলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কায় থাকতে হবে না।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা
মস্তিষ্ক শক্তিশালী করতে আদার উপকারিতার কথা মোটামুটি সবারই জানা। এর সঙ্গে হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সমন্বয় করা গেলে কথাই নেই। নিউরনের তৎপরতা ও মনোযোগ বাড়ানো আর ক্ষতিকর বেটা-অ্যামাইলয়িড প্লাক সরাতে এই চা ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্যথানাশক উপাদান
কারকিউমিন আর জিঞ্জেরল এই চায়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দুই উপাদান। এগুলো কিন্তু ব্যথানাশক হিসেবে বেশ পরিচিত। গোটা দেহের যেকোনো স্থানের ব্যথা নিরাময়ে এরা বেশ কাজ করে। এমনকি জয়েন্ট পেইনের চিকিৎসায়ও উপকারী।
ত্বক
যেহেতু হারবাল চা, তাই ত্বকের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখতে সক্ষম। ব্রণ, র্যাশ ওঠা, সোরোসিস কিংবা একজিমার মতো চর্মরোগে হয়তো বাড়তি ওষুধের দরকারই হবে না। ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার যেকোনো আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়।