বর্ষাকালে ভিটামিন সি সমৃদ্ধি খাবার না খেলে কিন্তু বিপদ!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
গরমের পর বর্ষা ক্ষণিক স্বস্তি দিলেও বছরের এই সময় কিন্তু ভয়ঙ্কর সব রোগ মাথা চাড়া দিয়ে। সেই সঙ্গে জীবাণুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে সংক্রমণের আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই তো বার্ষাকালে সাবধান থাকাটা মাস্ট! কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে রোগের আপনাকে ঘিরে ধরবে, তা তো আপনি জানেন না। তাহলে বাঁচবেন কীভাবে? সেক্ষেত্রে আপনার হাতে অস্ত্র বলতে একটাই আছে, তা হল ডায়েটে পরিবর্তন। মানে? সহজ কথায় বিশেষ কিছু খাবারকে এক্ষেত্রে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে!
প্রচন্ড তাপ প্রবাহ চলতে চলতে হঠাৎ বর্ষা আসার পর প্রথমেই যে রোগটির প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়, তা হল ভাইরাল ফিবার। তার পর একে একে আরও নানাবিধ সংক্রমণ নিজেদের খেল দেখাতে শুরু করে। সমস্যা কিন্তু এখানেই থেমে থাকে না। একবার যদি সংক্রমণের হাত থেকে বেঁচেও যান, তাহলে যে নিশ্চিন্তে হওয়া যায়, এমনও নয়। কারণ বর্ষাকালে আরও বেশ কিছু রোগ নিজেদের দাপট দেখাতে থাকে, যেমন পেটের রোগ, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি। এই সবকটি রোগ থেকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র একটি উপাদানই, তা হল ভিটামিন সি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বর্ষাকালে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে অসুস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই হ্রাস পায়।
তাই আর সময় নষ্ট না করে জেনে নিন কী কী খাবারে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, যা বর্ষাকালীন নানাবিধ রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ছোলা: বর্ষাকালে নিয়মিত ছোট বাটির একবাটি করে ছোলা খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আর ভয় থাকবে না। কারণ ছোলায় উপস্থিত ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফলেট এবং ভিটামিন কে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। ফলে সংক্রমণ আর ধারে কাছেই ঘেঁষতে পারে না।
ব্রকলি: ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমাতে ব্রকলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলবে। আসলে এতে থাকা ভিটামিন সি দুর্বল হয়ে পরা ইমিউন সিস্টেমকে পুনরায় নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে দেয়, ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসের পক্ষে শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। প্রসঙ্গত, এই সবজিটি কাঁচা অবস্থায় অথবা রান্না করে খেতে পারেন।
আপেল: “প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে কোনও দিন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পরবে না।” এই কথাটা কিন্তু বাস্তবিকই ঠিক। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে, বিশেষত বর্ষাকালে, শরীরে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের ঘাটিত দূর হয়। ফলে একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটার কারণে ইনফেকশনের প্রকোপ হ্রাস পায়, তেমনি অন্যদিকে আরও বেশ কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
কাঁচা লঙ্কা: ঝালে উহা যতই করুন না কেন, বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে কাঁচা অবস্থায় অথবা রান্নায় দিয়ে লঙ্কা খেতেই হবে। কারণ এতে রেয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বেশ কিছু কার্যকরী খনিজ, যা রক্তে মেশার পর পরই শরীরকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে কোনও ধরনের সংক্রমণেই আর শরীরকে বাগে আনতে পারে না।
আমলকি: বর্ষাকালে ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধি এই খাবারটিকে প্রতিদিনের সঙ্গী বানালে দেখবেন অসুস্থতার কারণে একদিনও কষ্ট পেতে হবে না। কেন জানেন? কারণ ভিটামিন সি এবং ফাইবার, এই দুটি উপাদান শরীরে অন্দরে উপস্থিত রোগ বিরোধী সৈনিকদের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট থেকে বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
টমাটো: ভিটামনি সি সমৃদ্ধি খাবারগুলির মধ্য়ে টমাটোর স্থান একেবারে উপরের দিকে। তাই তো বর্ষাকালে এই সবজিটিকে প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা মাস্ট! লবঙ্গ: আজ থেকেই প্রতিদিন ১-২ টো করে লবঙ্গ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই মিশলাটিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই উপাদানটি বর্ষাকালে আমাদের চাঙ্গা রাখতে কতটা সাহায্য করতে পারে, তা নিশ্চয় এখন আর কারও অজানা নেই।
এপ্রিকট: শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি নানা ধরনের ইনফেকশনকে দূরে রাখতে এপ্রিকটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, ক্যালরির মাত্রা কম থাকায় এই ফলটি খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে না।