ওজন কমাতে চান? ঘুমানোর আগে এই কাজগুলো করুন
কলকাতা টাইমস :
আপনি যদি সত্যিই ওজন কমাতে চান তাহলে রাতের সময়কে কাজে লাগান। জিমে যাওয়া, ইয়োগা অনুশীলন, ডায়েট মেনে চলা ছাড়াও আরো কিছু কাজ করা জরুরি। এজন্য আপনাকে রাতের কাজগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এই কাজগুলোই আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন।
রাতে ব্যায়াম করা: অনেকেই মনে করেন রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করলে ঘুম কেটে যায়। এই ধারণা ঠিক নয় বলে দাবি করছেন গবেষকরা। ২০১৩ সালে ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা গেছে ৫৬-৬৭ শতাংশ লোক যারা ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করেন, রাতে তাদের ভালো ঘুম হয়। রাতে ব্যায়াম করার ফলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। যেমন- সারাদিনের মানসিক চাপ দূর হয়, ব্যায়াম করা সময় সকালের মতো ঘুম ঘুম ভাব থাকে না, ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি ইয়োগা করতে পারেন। তবে অবশ্যই রাতের খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর করতে হবে।
রাতেই দুপুরের খাবার তৈরি করা: অলসতা বা সকালে সময়ের অভাবে কর্মস্থলে দুপুরের খাবার বাইরেই সেরে ফেলি। এতে করে আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে- বাড়ির তৈরির খাবারের চেয়ে বাইরের অর্থাৎ রেস্টুরেন্টের খাবারে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে। আপনি রাতেই দুপুরের জন্য খাবার তৈরি করে প্যাক করে রাখতে পারেন।
অন্ধকার রুমে ঘুমানো: এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে- ঘুমানোর সময় ম্যালাটোনিন হরমোন বাদামি চর্বি উৎপাদনে সাহায্য করে যা শরীরে ক্যালরি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। অন্ধকারের মধ্যেই শরীরে ম্যালাটোনিন উৎপন্ন হয়। একারণে ওজন কমানোর পন্থা হিসেবে ঘুমানোর সময় অন্ধকার রুম নিশ্চিত করুন।
ঘুমানোর এক ঘণ্টার মধ্যে জল পান নয়: জল পানের ফলে শরীর থেকে ঘাম ও প্রসাবের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। এ কারণে আমরা প্রচুর জল পান করে থাকি। ঘুমানোর আগে জল পান করলে রাতে বার বার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে জল পান সেরে ফেলবেন। মনে রাখবেন ওজন কমার ক্ষেত্রে ভালো ঘুম অন্যান্য বিষয়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
গোলমরিচ খাওয়া: চর্বি কমানো কার্যকরী উপায় হচ্ছে গোলমরিচ খাওয়া। আপনি হতে ঘুমান তখন শরীর চর্বি ক্ষয় করে এবং গোলমরিচ খাবার হজমে বেশ সহায়ক।
সর্বোপরি বলা যায়, ওজন কমার ক্ষেত্রে ঘুমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একারণে লক্ষ্য পূরণে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।