পিরিয়োড পেছোতে চাইলে এই স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিগুলি মেনে দেখুন
কলকাতা টাইমস :
কখনও বেরাতে যাওয়ার জন্য় তো কখনও পূজা-পার্বনে অংশ নিতে পিরিয়োড পিছিয়ে দেওয়ার নানা আধুনিক দাওয়াই খেয়ে থাকেন আপনারা। কিন্তু এই সব ওষুধগুলি খেলে যে শারীরিক কষ্টের সম্মুখিন হতে হয়, সে সম্পর্কেও নিশ্চয় আপনারা জানেন। যেমন কারও কারও চুলকানি এবং মাথা ঘেরার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। আবার কেউ মাথা যন্ত্রণা, উচ্চ রক্তচাপ এবং আবসাদের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন। এমন সব শারীরিক সমস্য়াগুলিকে সামলে দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়।
তাহলে কেন নেন বারংবার এই সব ওষুধগুলি। আপনি হয়তো বলবেন উপায় কী, কোনও বিকল্প তো নেই!
কে বলেছে বিকল্প নেই। এমন কিছু সহজ পদ্ধতি আছে যেগুলি মেনে চললে কোনও সাইড এফেক্ট ছাড়াই পিছিয়ে দেওয়া যায় পিরিয়োডের সময়। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে অবশ্য়ই পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি।
১. মসূর ডাল:
পিরিয়োড শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন মসূর ডালের সুপ খান। দেখবেন হাতে নাতে ফল পাবেন। কম করে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে পিরিয়োডের সময়।
২. ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন:
এই ধরনের খাবার খেলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে সময়ের আগেই পিরিয়োড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যদি আপনি বিশেষ এই দিনটিকে পিছিয়ে দিতে চান, তাহলে ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৩. শরীরচর্চা:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পিরিয়োড শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন এক্সার্সাইজ বা দৌঁড়ালে পিরিয়োডের সময় পিছিয়ে যায়।
৪. পার্সলে শাক:
পিরিয়োড পিছিয়ে দিতে চান? তাহলে আজই বাজার থেকে কিনে আনুন এক আঁটি পার্সলে শাক। কয়েকটি পার্সলে শাকের পাতা হাফ লিটার জলে ফেলে অল্প আঁচে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করুন। তারপর জলটা ফেলে দিয়ে হালকা গরম থাকাকালীন শাকটা খেয়ে ফেলুন। এমনটা করলে সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন।
৫. স্ট্রেস:
মানসিক চাপের কারণে পিরিয়োড পিছিয়ে যেতে পারে। তাই বলে অকারণে নিজেকে চাপের মধ্য়ে ফেলবেন না। এই বিষয়ে লেখার মূল কারণ হল, স্ট্রেসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আপনাদের সচেতন করা।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
এক গ্লাস জলে ২-৩ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রনটি পিরিয়োড শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে দিনে কম করে দুবার খেলেই দেখবেন ফল পাবেন।
৭. সিরিশ-আঠার পাউডার:
এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ সিরিশ আঠার পাউডার মিশিয়ে সেই জল পান করুন। বিশেষ এই পানীয়টি পিরিয়োডের সময় পিছিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।