পায়ে ভিক্স লাগিয়ে তার ওপর মোজা …পরেরটা অত্যাশ্চর্য
কলকাতা টাইমস :
লস এঞ্জেলসের বাসিন্দা জোহান্না পেরি একজন ফিটনেস ট্রেনার এবং মডেল। অন্য মানুষকে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি যেমন বাতলে দেন তিনি, তেমনই নিজেকেও যথাসম্ভব সুস্থ ও সুন্দর রাখার চেষ্টা করে চলেন। কিন্তু সেই জোহান্নাই মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন কাশিতে। সময় নেই, অসময় নেই হঠাৎ হঠাৎ কাশির দমক ওঠে। কাশতে কাশতে গলা যেন চিরে যায়। ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার জানালেন, ঠাণ্ডা লাগা আর বুকে কফ জমার সমস্যা। অ্যান্টিবায়োটিক আর কাফ সিরাপ দিলেন ওষুধ হিসেবে। ওষুধ খেয়ে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, তার পরেই আবার কাশি কাবু করে দেয় জোহানাকে। শেষমেশ নিজেই বার করলেন এক আশ্চর্য উপায়। নিজে ফিটনেস ট্রেনার হওয়ার সুবাদে মানবশরীরের রীতিনীতি ভালই জানা ছিল তার। নিজের জ্ঞানবুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এক দিন কাশি থেকে মুক্তির এক আজব কৌশল মাথায় এলো তার।
এক দিন যখন কাশতে কাশতে হাঁপিয়ে উঠেছেন জোহানা, তখনই নিজের ড্রয়ার থেকে তিনি বার করে নিলেন ভিক্স ভেপোরাবের কৌটো। সর্দি, জ্বর, মাথাব্যথায় এই ভেপোরাব অত্যন্ত কার্যকর এবং জনপ্রিয়। কিন্তু জোহানা ভিক্সকে ব্যবহার করলেন এক অভিনব উপায়ে। নিজের দুই পায়ের পাতায় তিনি পুরু করে লাগিয়ে দিলেন ভিক্স। তার পর দুই পায়ে পরে নিলেন মোজা। তার পরেই ম্যাজিক। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে উধাও কাশি।
‘দা হেলথি লাইফস্টাইল থ্রি সিক্সটি ফাইভ’ নামের স্বাস্থ্যপত্রিকায় নিজের আবিষ্কার করা এই আজব কৌশলের কথা জানিয়েছেন জোহানা। তাঁর বক্তব্য, যে কোনও ধরনের কাশি থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে মুক্তি দিতে সক্ষম এই কৌশল। তাঁর ব্যাখ্যা, ভিক্স ভেপোরাব অ্যালকালাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। পায়ের পাতায় ভিক্স লাগিয়ে তার উপর মোজা পরে নিলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। শিরা-ধমনী, আর্টারি এবং ক্যাপিলারি সর্বত্র এর প্রভাব পড়ে। পরিণামে তাৎক্ষণিক ভাবে কমে যায় কাশির দমক।
জোহানা দাবি করছেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এই কৌশল অত্যন্ত কার্যকর। বাচ্চারা যদি কাশিতে কষ্ট পায়, তা হলে বাবা-মা নিশ্চিন্তে তাদের পায়ের পাতায় ভিক্স লাগিয়ে মোজা পরিয়ে কাশি থেকে তাদের মুক্তি দিতে পারেন।