মেরে ফেলতে পারে দুশ্চিন্তা, তাই কমাতে ওষুধ নয় রইল এই খাবারগুলি
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
দুশ্চিন্তা কি আপনার পিছুই ছাড়তে চায় না? এদিকে চিন্তা মুক্ত হওয়ার পথও খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে তো এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ এই লেখায় এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা অ্যাংজাইটি কমাতে দারুন কাজে আসে। স্ট্রেসের কারণে অল্পবিস্তর দুশ্চিন্তা হওয়াটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অ্যাংজাইটি লেভেল যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলেই চিন্তার বিষয়। কারণ এমনটা হলে দৈনন্দিন জীবনের ভারসাম্য বিগ্নিত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাবো পরে। তাই তো পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সাবধনতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, অ্যাংজাইটিকে চিকিৎসকেরা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা হিসেবেই বিবেচিত করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত চিন্তায় থাকা, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়া, অস্বস্তি হওয়া, মন খারাপ হয়ে যাওয়া এবং খিদে কমে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। এই ধরনের সমস্যায় আধুনিক চিকিৎসা দারুন কাজে আসে।
কিন্তু এক্ষেত্রে যে সব ওষুধগুলি দেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলি খাওয়া মাত্র অন্য নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এই ধরনের মানসিক রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আজও ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্য নেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করে থাকেন বেশ কিছু বিশেষজ্ঞরা। এবার চোখ ফেরানো যাক সেইসব খাবারের দিকে, যা অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমাতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
১. তিসি বীজ: এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরে সেরোটনিন হরমোনের মাত্রা নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। ফলে অ্যাংজাইটি কমতে শুরু করে।
২. দই: প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিকে পরিপূর্ণ এই খাবারটি খেলে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তা একেবারে কমে যায়।
৩. মাছ: যেমনটা আগেই আলোচনা করেছি যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যাংজাইটি কমাতে দারুন কাজে আসে। আর একথা তো সকলেই জানেন যে মাছে এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই তো প্রতিদিন মাছ খেলে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনও সমস্যাই হয় না। আসলে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ব্রেন সেলগুলিকে শক্তিশালী করে তোলে। ফলে অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা কমতে সময়ই নেয় না।
৪. স্ট্রবেরি: এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কে ডেপোমিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোনটি মানসিক চার কমানোর পাশপাশি ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রণ রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
৫. রাঙা আলু: এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই দুটি উপাদান নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে, সেই সঙ্গে ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। ফলে দুশ্চিন্তা কমতে শুরু করে।
৬. পালং শাক: এই শাকটি বাঙালি ভোজনরসিকদের পছন্দের তালিকায় সব সময়ই উপরের দিকে থাকে। কেন থাকবে নাই বা বলুন, স্বাদে পালং শাককে টেক্কা দেয় এমন আর কোনও শাক আছে কি? তবে এখানেই পালং শাকের গুণ কিন্তু শেষ হয়ে যায় না। আপনাদের কি আছে মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমাতেও এই শাকটি দারুন উপকারে লাগে। আসলে পালং শাকে উপস্থিত আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে মানসিক চাপ কমতে শুরু করে।
৭. ডিম: প্রোটিন তো রয়েছেই সেই সঙ্গে ডিমে রয়েছে ট্রাইটোফেন নামে একটি উপাদান। দুশ্চিন্তা কমাতে এই উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।