May 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

চুল পড়তে পড়তে কি মাঠে টাক ? তাহলে গ্রিন টির সঙ্গে এখনই বন্ধুত্ব না পাতান কিন্তু বিপদ!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বিশ বছর আগে ডাক্তাররা বলতেন চুল পড়া স্টার্ট মানেই টাক নিশ্চিত। অমনি আম বাঙালি আম খেতে খেতে তাই বিশ্বাস করলে। সে নয় সেই সময় বিশ্বাস করেছে কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু ভয়ের বিষয় হল এই ২১ শতকের শেষে দাঁড়িয়েও আমরা সেই আদ্যিকালের ধরণাকে বগলদাবা করে গুরে বেরাচ্ছি, নতুনতে মেনে নিতে আজও আমরা মোটে প্রস্তুত নই! তাই তো দেখুন পলিউশান, খাদ্যাভ্যাস, জলে উপস্থিত নানা খনিজ এবং আরও নানা কারণে সিংহভাগ বাঙালির যুবারই ৩০ না পেরতে পেরতেই মাথা খালি হতে বসেছে। তবু আমরা গ্রিন খেতে চাই না।

আপনাদের জানিয়ে রাখি নতুন এক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে চুল পড়া আটকাতে এবং নতুন চুলকে গজিয়ে তুলতে গ্রিন টির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত ক্যাটসিয়াসিন, ক্রোমিয়াম, পলিফেনল এবং একাধিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে চুল এত মাত্রায় মজবুত হয়ে ওঠে যে হেয়ার ফলের আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে নতুন নতুন চুল গজিয়ে ওঠার করণে শামি কাপুর বা এলভিস প্রেসলির মতো চুলের খেতা করার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না।

তবে গ্রিন যে শুধু চলের যত্নেই কাজে আসে এমনটা ভেবে নিলে কিন্তু ভুল করবেন। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রোজের ডেয়েটে গ্রিন টিকে জায়গা করে দিলে শরীরে এত মাত্রায় উপকারি উপাদানের প্রবেশ ঘটে যে তার প্রভাবে একাধিক রোগ যেমন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি শরীর সব দিক থেকে চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। এই যেমন ধরুন এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করলে…

১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: কি বন্ধু এতক্ষণে একটা কাজের কথা বলেছি বলুন! কারণ বাঙালি মানেই সে ছকের বাইরে খাওয়া-দাওয়া করবে। আর তাই তার হজম ক্ষমতার যে বেশ কম বয়সেই বারোটা বাজবে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তবে একটা কথা বলতে পারি, প্রতিদিন যদি দু পেয়ালা করে গ্রিন টি খেতে পারেন, তাহলে যতই খাবার প্লেটে ঝড় তুলুন না কেন, পেটের স্বাস্থ্য কিন্তু একেবারেই বিগড়বে না। কারণ এই পানীয়টিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি উপাদান শরীর প্রবেশ করা মাত্র পেটের অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে ফেলে। ফলে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতা চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।

২. দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: না শুনতে কোনও ভুল করেননি। কারণ গ্রিন টি খাওয়া শুরু করলে বাস্তবিকই মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। কারণ এই পানীয়টিতে উপস্থিত ক্যাটসিয়াসিন নামক উপাদান দাঁতের কোণায় কোণায় উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার মেরে ফেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাঁতে ক্ষয় ধরার আশঙ্কা যায় কমে।

৩. শরীরের ক্ষমতা বাড়ে: প্রতিদিন সকালে গ্রিন টি খেলে দেখবেন স্টেমিনা কেমন তড়তড়িয়ে বেড়ে যাচ্ছে। তাই তো পুরো দিন ব্য়াপী চনমনে থাকতে, শুধু সকালে নয়, সারাদিনে বেশ কয়েকবার পান করুন এই হেল্থ ড্রিঙ্ক। ফল পাবেন হাতেনাতে। ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিমেষেই দূর করে কর্পূর! জানুন এর উপকারিতা

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না: যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন, তারা সুস্থ থাকতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন কিন্তু! কারণ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ১-২ পেয়ালা করে এই পানীয় পান করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

৫. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে: বেশি কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে দেহের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে একদিকে যেমন ত্বকের বয়স কমে, তেমনি যে কোনও ধরনের স্কিন ডিজিজের প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।

৬. ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে: গ্রিন টি পান করা মাত্র মেটাবলিক সিস্টেম ফাংশনের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এই পানীয়টিতে উফস্থিত পলিফেনল, ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই তো বলি বন্ধু যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা নিয়িমত সকাল-বিকাল ১ কাপ করে গ্রিন টি পান করুন। দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে এই চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে যা হজম প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, গ্রিন টিয়ে উপস্থিত কেটাচিন পেটের মেদ ঝড়াতে অগ্রগন্য় ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: শুনে আবাক লাগলেও গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গ্রিন টি সাহায্য় করে। সেই সঙ্গে আমাদের অ্যালার্টনেসও বাড়ায়। তাই আজ থেকেই সকাল-বিকাল খাওয়া শুরু করুন এই চা।

৯. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছে আসতে পারে না: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি তে উপস্থিত ইজিসিজ নাম উপাদানটি ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে ক্যান্সারকে যদি দূরে রাখতে হয় তাহলে গ্রিন টির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই হবে।

১০. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে: প্রতিদিন গ্রিন খেলে হার্ট কিন্তু খুব ভালো থাকে। একটি রিসার্চে দেখা গেছে যারা নিয়মিত গ্রিন টি খেয়ে থাকেন তাদের উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৬-৬৫ শতাংশ কমে যায়। আর একথা তো সকলেরই জানা যে উচ্চ রক্তাচাপের মতো রোগ না থাকলে কমে হার্ঠ অ্যাটাকের আশঙ্কাও। আসলে গ্রিন টির মধ্য়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই কাজটি করে থাকে। এবার থেকে তাই আপনিও সকাল-বিকাল খাওয়া শুরু করুন গ্রিন টি। দেখবেন কেমন অল্প দিনেই চাঙ্গা হয়ে উঠছেন।

Related Posts

Leave a Reply