May 14, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali শারীরিক

ফুল খেলে সারবে জটিল অসুখ, হবেন চির যৌবনা

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস 

আমরা সবাই জানি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যে ফুলের রসের কার্যকারিতা অতুলনীয়। কিন্তু এবার জানা গেল, সুস্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ফুল। শরীরের অভ্যন্তরীণ জটিল সমস্যাও দূর হয়।অর্থাৎ ফুল খেলে শুধু সুস্থই থাকবেন না হবেন চির যৌবনা, চির সুন্দরীও। এই কারণেই  চীনে খাওয়া হয় এমন কয়েকটি ফুল ফেনোলিকস ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আসুন জানাই কোন ফুল খেলে কি লাভ পেতে পারেন –

গোলাপ: ফুলের রাজা বলে সর্বজনস্বীকৃত গোলাপ। চীনা চিকিৎসায় এর বিশেষ কদর রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিকস, যা বুকের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নানা ধরনের ভিটামিনেরও উৎস এ ফুল, যা হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

জুঁই: সুগন্ধি ফুলটি চা ও সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে রয়েছে এমন এক ধরনের উপাদান; যা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

পিওনি: সাধারণত বিয়ে ও বিভিন্ন উৎসবে সাজসজ্জার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। তবে খাদ্য হিসেবেও বেশ উপাদেয় মনোরম ফুলটি। গবেষকরা বলছেন, এটি নিয়মিত খেলে বিষণ্ণতা, অবসাদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

প্যানসিজ:মন খারাপ, তাহলে যান প্যানসিজের বাগানে। এর সৌন্দর্যের ঝলকানি নিমিষে আপনার মন প্রফুল্ল করে তুলবে। শুধু মন মাতাতেই এটি পারদর্শী নয়। উপরন্তু ফুলটি নিয়মিত খেলে কয়েকটি মরণঘাতী রোগ থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এতে রয়েছে উচ্চহারে পটাশিয়াম ও খনিজ উপাদান, যা হৃদরোগ, কিডনি, উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

মেরিগোল্ডস: ভারতীয় উপমহাদেশে এটি গাঁদা নামে পরিচিত। চীনারা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে এ ফুল খায়। এর রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ। দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে এর ভূমিকা অনন্য।

ল্যাভেন্ডার: এটি একটি সুগন্ধি ফুল। আইসক্রিম ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে এটি খাওয়া যায়। এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফুলটির রস খুশকি দূরে বিদ্যুতের মতো কাজ করে।

জবা: এটি সালাদ ও চায়ে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিনস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা নিম্ন রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।

চন্দ্রমল্লিকা: চায়ে মিশিয়ে এটি খাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

Related Posts

Leave a Reply