May 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মেডিটেশন নিয়ে ‘ভুল সবই ভুল’

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মেডিটেশন শব্দিটি আজকাল আমরা কমবেশি সবাই জানি। বিশেষত ব্যস্ত জীবনে স্বাস্থ্য রক্ষার মন্ত্র হয়ে উঠেছে মেডিটেশন বা ধ্যান। এটা অনেকটা প্রার্থনার মতো।কিন্তু এই মেডিটেশন সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণাটাই ভুল।কেন জানেন ?  কারণ অনেকেই ভাবেন, মেডিটেশন মানেই শান্ত-সুনিবিড়-নীরব কোনো স্থানে বসে মগ্নতায় ডুবে যাওয়া। টেলিভিশনে বা বিজ্ঞাপন দেখে মেডিটেশনের জন্য পাহাড় বা বনের পরিবেশই একমাত্র উপযোগ্য বলে বিশ্বাস করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এগুলো পুরোপুরি ভুল ধারণা। এর জন্য পরিবেশ ও স্থান কোনো ব্যাপার নয়। গোটাটাই ধ্যানমগ্নতার বিষয়। এখানে মেডিটেশন নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো—

নীরব কক্ষ : এটা সবচেয়ে বড় ভুল ধারণার একটি। শহুরে জীবনে মেডিটেশনের জন্য নীরব কক্ষ চান সবাই। আসলে দরকার নেই। আশপাশের শব্দগুলোই কিন্তু এ কাজের সহযোগী মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।

শুধু ঘরেই হয় : এটাও ভুল তথ্য। আপনি চলন্ত গাড়িতে বসে, কোনো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, গোসল করতে করতে এবং ক্লাসের বিরতিতেও মেডিটেশন করতে পারেন। বুঝতেই পারছেন, যেকোনো অবস্থায় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে চলতে পারে মেডিটেশন। ধরা যাক, ঘড়ির অ্যালার্ম বাজার পর ঘুম ভাঙল। আপনি বিছানায় বসে মিনিট পাঁচেক বসে থাকলেন। নিজের দেহের উষ্ণতা অনুভব করুন, পাখির ডাক, বাতাসে গাছের পাতার আওয়াজ ইত্যাদিতে মনোযোগ দিন। এটাই আসলে মেডিটেশন।

চোখ বন্ধ করে কাজ করা : অনেকেই বলেন, কোনো কাজ চোখ বন্ধ করে মনোযোগের সঙ্গে করাটাও মেডিটেশন। এটা ঠিক সত্য নয়। কোনো জিনিস নিয়ে ব্যস্ততা থাকলে ওটার প্রতি আপনি ধ্যান দিতে পারেন। চোখ বন্ধ করাই মেডিটেশন নয়। চোখ খোলা রেখেও গভীর মনোনিবেশ করা যায়।

মনোনিবেশ এবং সচেতনতা : প্রথমটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর দ্বিতীয়টি বাহ্যিক। যখন দুচোখ বন্ধ করবেন তখন মণি দুটো এমনভাবে রাখুন যেন সামনে তাকিয়ে আছেন। এ প্রক্রিয়াকে কার্যকর করতে শ্বাস-প্রশ্বাসে মন দিন। এবার বাইরের দৃষ্টিতে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন। এতে নিজের কার্যক্রমের বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠবেন। নিজের সম্পর্কে নতুন কিছু বেরিয়ে আসবে, যা আগে কখনো খেয়াল করেননি।

Related Posts

Leave a Reply