ফুটবল-ক্রিকেট দুটি খেলাতেই আগুন ঝরাচ্ছেন এই মহিলা সুন্দরী!
কলকাতা টাইমসঃ
বিরাট কোহলি কিংবা এবি ডিভিলিয়ার্সের ক্রেজ যতটা, অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটার এলাইস আলেজজান্দ্রা পেরি’র দ্যুতি একবিন্দুও কম নয় তাদের থেকে। বর্তমানে সবচেয়ে নজরকাড়া মহিলা ক্রিকেটার ইনি। সবচেয়ে কম বয়সী অজি ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলের জার্সিতে আত্মপ্রকাশ করেন ২০০৭ সালে। ব্যাট ও বল- দুটি ক্ষেত্রেই সমান সাবলীল পেরি। ২০০৭-০৮ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়ে তাক লাবিয়ে দেন তিনি।
২০০৯ সালে প্রথম টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের স্কোয়াডে সুযোগ পান পেরি। ২০১০ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পান তিনি। ফাইনালের সেরাও হন পেরি। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মহিলাদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হন এলাইস পেরি। গোড়ালিতে ইঞ্জেকশন নিয়েও ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলাতেও সমান পারদর্শী এই খেলোয়াড়। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অলিম্পিক ফুটবল স্কোয়াডেও জায়গা পান তিনি।
২০১৫ সালের মহিলাদের অ্যাসেজ সিরিজে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন। গোটা সিরিজে তিনিই সবথেকে বেশি রান ও উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। ‘প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ’ হয়ে অবাক করে দেন ক্রিকেট বিশ্বকে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান রাগবি খেলোয়াড় ম্যাট টাউমা-কে বিয়ে করেন পেরি। মহিলাদের বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্টে সিডনি সিক্সার্স-এর হয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। প্রথম ছয় ম্যাচ হেরে যাওয়া সত্ত্বেও এলাইসের অলরাউন্ড দক্ষতায় ভর করে দ্বিতীয় স্থানে ফিনিশ করে সিডনি সিক্সার্স।
পেরি-ই একমাত্র অস্ট্রেলীয় মহিলা, যিনি ক্রিকেট ও ফুটবল, দুটি খেলাতেই দেশের হয়ে প্রথম এগারোয় স্থান করে নিয়েছেন। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ফুটবল অভিষেকে ২ মিনিটেই প্রথম গোল করেন তিনি। ২০১৬ সালের উইজডেনের বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন এলাইস পেরি। ২০১৭ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য রেকর্ড অর্জন করেন পেরি। নিজের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের জন্য টানা পাঁচবার অর্ধ-শতরান করেন।