May 11, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

অদ্ভুত এক মূর্তি বসিয়ে সমালোচনার মুখে জাপানের শহর ফুকুশিমা

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমসঃ

এলাকায় আর পরমাণু তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব নেই। সেই খবর জানাতে শহরে হলুদ রঙের তেজস্ক্রিয়তা নিরোধক পোশাকে মোড়া ২০ ফুট উঁচু একটি শিশুর মূর্তি বসিয়েছে জাপানের শহর ফুকুশিমা। তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বিতর্ক।

জানা গেছে, মূর্তিটির বুকে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে তিনটি শূন্য বসানো রয়েছে, খালি মাথায়, এক হাতে হেলমেট এবং আরেক হাতে সূর্যের প্রতীক। যার অর্থ, ফুকুশিমার বাতাস শ্বাস নেওয়ার পক্ষে একদম উপযুক্ত। শহরে তেজস্ক্রিয়তার আর কোনও প্রভাব নেই।

জাপানি শিল্পী কেনজি ইয়ানোবের তৈরি এই সূর্য-শিশুকে ফুকুশিমার নির্মল পরিবেশের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে জাপান। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে এই মূর্তি বসানোর পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নেটিজেনদের অভিযোগ, এভাবে নিজেদের অঞ্চলে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমে যাওয়া দেখানোর চেষ্টা করছে ফুকুশিমা-দাইচি পরমাণু কেন্দ্র এবং নগর প্রশাসন। কিন্তু পৃথিবীতে কোথাও কখনও তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে না।

যার ফলে এই মূর্তি সম্পূর্ণভাবেই অবাঞ্চিত। অথচ মানুষদের ভুল বোঝনো হচ্ছে। সমালোচনার জবাবে শিল্পী ইয়ানোবে তিন পাতার চিঠিতে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানান, তিনি কারও মনে দুঃখ দিতে চাননি। শুধু বলতে চেয়েছিলেন মানুষের কাছে আশা এবং আকাঙ্খা কখনও শেষ হয়ে যেতে পারে না। সেজন্যই সব জীবনের উৎস-সূর্যের প্রতীক হাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা এক শিশুর মূর্তি তৈরি করেছিলেন।

শিল্পীর কাজকে উৎসাহ দিয়ে ফুকুশিমার মেয়র হিরোশি কোহাতা বিবৃতি বলেছেন, কীভাবে এই সমস্যা এবং অভিযোগের পরিবর্তন করা যায় তা নিয়ে তিনি আলোচনায় রাজি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ফুকুশিমা-দাইচি পরমাণু কেন্দ্রে বিশাল ক্ষতি হয়। সেই কেন্দ্রের সব কটি চুল্লি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। তার ফলে সম্পূর্ণ এলাকায় পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক লাখ মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছিল। এলাকার সামুদ্রিক প্রাণীজগতেও এর প্রভাব দেখা গিয়েছিল।

 

Related Posts

Leave a Reply