May 11, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

মিথ্যা বলা শিশু বুদ্ধিমান হয়!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

অনেক শিশু কোনো ভুল কাজ করলে মা-বাবা রেগে যান, বকুনি দেন। আর এই বকুনি খাওয়ার ভয়ে শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলে। এতে মা-বাবা হয়তো দুশ্চিন্তায় পড়েন। তবে গবেষকেরা বলছেন, এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, শিশুদের এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। শুধু তা-ই নয়, মিথ্যা বলা শিশুদের বুদ্ধিমান হওয়ার লক্ষণ।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজিস্ট মাইকেল লুইস ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে এ ধরনের একটি গবেষণা করেছিলেন। সেই গবেষণার সূত্র ধরেই সম্প্রতি একদল গবেষক এই গবেষণা করেছেন।

গবেষকেরা বলছেন, দুই বছর বয়সী শিশুদের মিথ্যা বলা ভালো লক্ষণ। এতে শিশুদের বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, তারা এমনভাবে মিথ্যা বলে, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তা শুরুতে ধরতে পারেন না।

মাইকেল লুইস বলেন, যে শিশুরা ইচ্ছা করে নিজেদের খেলনা নিয়ে মিথ্যা বলে, তাদের বুদ্ধাঙ্ক অন্য শিশুদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি হয়।

অন্য গবেষকেরা বলছেন, যেসব শিশু মিথ্যা বলে, তাদের অন্যান্য কাজ করার দক্ষতা খুব ভালো হয়। মনোবিজ্ঞানী কাং লি প্রায় দুই দশক ধরে শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। তিনি মা-বাবাদের উদ্দেশে বলেন, দুই বা তিন বছর বয়সের শিশুর মিথ্যা বলা যদি ধরে ফেলতে পারেন, তাহলে রাগ না হয়ে তাদের নিয়ে বিষয়টি উদ্‌যাপন করুন। কারণ মিথ্যা বলা শিশুদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু মিথ্যা বলে না, তাদের চেয়ে মিথ্যা বলা শিশুদের স্কোর বেশি। তারা নির্দিষ্ট কাজের বাইরেও অন্যান্য কাজ করার দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের এমনিতেই মিথ্যা বলতে উৎসাহ দেওয়ার দরকার নেই। নিজে থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে মিথ্যা বলার কারণেই তাদের বিকাশ অনেক দ্রুত ঘটে। সাধারণ শিশুদের চেয়ে মিথ্যা বলা শিশুদের বুদ্ধি বেশি হয়। তবে শিশু একটু বেড়ে ওঠার পর তাদের সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য বোঝাতে হবে। এতে শিশু-কিশোরদের অপরাধ করার প্রবণতা থাকবে না।

Related Posts

Leave a Reply