May 18, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এই সাত বৈশিষ্ট্যই প্রতিভাবানকে চিনিয়ে দেয়

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ব প্রতিভাবান কখনো সমান হন না। তবে তারা সবাই একে অপরের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করেন। এটিও তাঁদের ব্যক্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাঁদের আচরণ অনেকের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে। এসব আচরণে এক ধরনের ‘পাগলামো’ থাকে।

সৌভাগ্যক্রমে, যাঁরা অনেক বেশি বুদ্ধিমান তাঁরা এমন কিছু বৈশিষ্ট্য শেয়ার করেন যা আমাদের কাছে শিক্ষনীয়। এখানে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো যার সঙ্গে আপনিও একমত হবেন :

১। সবকিছুকে সম্মানের চোখে দেখেন তাঁরা 
তাঁদের মন সর্বদা চলমান। এই চলমানতা থাকে কোনো বিষয়ের ওপর গভীর চিন্তাশীলতার মধ্য দিয়ে। মানুষের জীবন সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সংকট দেখা দিলে তা থেকে উত্তোরণের উপায় খোঁজা হয় এসব চিন্তাশীলতার মাধ্যমে। কেবল যে সমাধান খোঁজা হয় তা নয়, এর মাধ্যমে নতুন কিছু উদ্ভাবনা নিয়ে মেতে থাকেন প্রতিভাবানরা।

২। তাঁদের ভেতর থাকে জ্ঞানতৃষ্ণা
ক্রমাগত জ্ঞানের জন্য তৃষ্ণার্ত থাকেন প্রতিভাবানরা। ব্যক্তি ও এর পরিপার্শ্বে বিদ্যমান বিষয়কে কেন্দ্র করে দৃশ্যমান ও অনুভূত সব বিষয়ই তাঁদের ভাবনার বিষয়বস্তু। তাঁদের জীবনে এমন কোনো দিন নেই যেখানে তাঁরা নতুন কিছু বা গভীর আত্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ঘুমাতে যান।

৩। তাঁরা যা জানেন না তা স্বীকার করেন
জানাশোনার সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি কথা বলা মানুষকে মোটেও বুদ্ধিমান বা প্রতিভাবান বলা যায় না। বুদ্ধিমান মানুষ সবসময় যা কম জানেন তা আরো বেশি জানার চেষ্টা করেন। কোনো বিষয় অজানা থাকলে বা কম জানা থাকলে তাঁরা তা স্বীকার করেন। কেননা, তাঁরা মনে করেন এটি স্বীকার করা মানেই বিষয়টি সম্পর্কে জানার একটি সুযোগ তৈরি হওয়া।

৪। জানার বিষয়টি তাঁরা উপভোগ করেন
খেয়াল করলে দেখা যাবে বুদ্ধিমান মানুষ নিজের ইচ্ছায়ই জানার পেছনে সময় ব্যয় করেন। এর মাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করে তাঁরা কেবল অন্যদেরকে কম সন্তুষ্টি প্রদান করেন তা নয়, তাঁরা নিজস্ব চিন্তার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। যেসব বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ নেই সেসব বিষয় নিয়ে তাঁরা অন্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন না।

৫। হতে পারেন তাঁরা অগোছালো বা বিশৃঙ্খল
জীবনভর নোংরা বা অগোছালো- এমন অভিযোগ একজন প্রতিভাবানের বিরুদ্ধে উঠতেই পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তিনি পরিপাটি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সৃজনশীল ও প্রতিভাবান। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও গোছালো থাকার পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করেন তবে বুঝতে হবে তিনি গভীর চিন্তাশীলতায় আচ্ছন্ন যা গোছালো অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা দাবি করেছেন, এই অবস্থা অনেক দরকারি কোনো বিষয় উদ্ভাবন করতে পারে। 

৬। তাঁদের ঝোঁক কম ঘুমানোর প্রতি
ইতিহাস সাক্ষী, বিখ্যাত ব্যক্তিরা রাতে ঘুমাতে যেতেন বা যান দেরিতে। সাইকোলোজি টুডে-তে প্রকাশিত গবেষণার ফলে দেখানো হয়েছে, নিশাচরদের আইকিউ থাকে উচ্চ স্তরে। তাঁদের মন খুব কমই স্থির থাকে। তাঁরা কিছু সময় বিশ্রাম নেন তারপর আবার গভীর জটিল চিন্তার ভেতর ডুবে যান।

৭। বিষয়কে দীর্ঘসূত্র করা
বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা জটিল বিষয়গুলোতে দীর্ঘসূত্র করেন। কারণ তাঁরা সবসময় অধিক প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কাজ করেন। এর অর্থ এই যে তাঁরা কাজটি স্থগিত রাখছেন কারণ সৃজনশীল কাজ মাত্রই যথেষ্ট সময় প্রয়োজন। 

Related Posts

Leave a Reply