চলে গেলেন ‘ভুবনসোম’ এর জনক
কলকাতা টাইমস :
প্রয়াত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন। নিজের সিনেমার মাধ্যমে সমাজকে শুধু আয়নাই দেখান নি তিনি মিঠুন চক্রবর্তীর মতো স্টারের জন্মদাতা। ৯৪ বছর বয়সে বার্ধ্যকাজনিত কারণে প্রয়াত হন তিনি।
মনে করিয়ে দি এই সপ্তাহেই আমরা হারিয়েছি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে । বছর শেষের রবিবারে বাংলা সাংস্কৃতিক জগতের আরও একটি তারা খসল। চলে গেলেন মৃণাল সেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান পরিচালক। জানা গেছে তার ছেলে কুনাল সেন বিদেশ থেকে দেশে ফিরলেই তার পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপাতত তার মরদেহ কলকাতার ‘পিস্ হ্যাভেন’ এ রাখা হয়েছে।
১৯৫৫ সালে রাতভোর’ ছবি দিয়ে শুরু তারপর একে-একে ‘নীল আকাশের নীচে’ ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘ভুবনসোম’, ‘কোরাস’, ‘মৃগয়া’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘পুনঃশ্চ’, ‘পরশুরাম’, ‘একদিন প্রতিদিনে’র মতো অসামান্য সব ছবি। তাঁর শেষ ছবি ‘আমার ভুবন’ (২০০২)। সর্বমোট ২৭টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি, ১৪টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ও ৪টি তথ্যচিত্রের পরিচালনা করেছিলেন মৃণাল সেন।
কিংবদন্তী পরিচালকের ঝুলিতে রয়েছে ১৮টি জাতীয়, ১২টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার। মস্কো, বার্লিন, কান ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হন তিনি। ১৯৮১ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার। ২০০৫ সালে ভারত সরকার প্রদত্ত বিনোদন জগতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। সাহিত্য ও শিল্পে অনস্বীকার্য অবদানের জন্য তাঁকে কম্যান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস (Ordre des Arts et des Lettres ) সম্মানে সম্মানিত করেছিল ফরাসি সরকার।