May 16, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

দাড়ি নিয়ে মিশর শাসন করলেও আসলে তিনি ছিলেন একজন মহিলা 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
হাতশেপসুত কোনো সাধারণ নারী শাসক ছিলেন না। তিনি প্রাচীন মিসরের অষ্টাদশ রাজবংশের পঞ্চম ফারাও শাসক ছিলেন। মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদরা তাকে সাধারণভাবে সর্বাপেক্ষা সফল ফারও শাসকদের একজন হিসেবে গণ্য করেন। মিসরীয় রাজবংশের অন্যান্য নারীদের থেকে তার রাজত্বকাল অনেক দীর্ঘতর ছিল। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

স্বামীর মৃত্যুর পর হাতশেপসুত মোটেই দমে যাননি। তিনি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন ফারাও হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে। এতে তিনি প্রাচীন মিসরের প্রথম নারী ফারাও হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। এ সাম্রাজ্যে পরবর্তীতে আরও কয়েকজন নারী শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তবে তাদের মধ্যে হাতশেপসুত সবচেয়ে দীর্ঘসময় রাজত্ব করেন। তার শাসনকাল ছিল ১৫ বছরের।

হাতশেপসুতের মৃত্যুর পর তার সতপুত্র সম্পূর্ণ শাসক হয়ে বসেন। এ সময় তার নাম ও অধিকাংশ নিদর্শন তিনি ধ্বংস করেন বা অন্য কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেন। এ কারণে হাতশেপসুত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রায়ই পেতেন না গবেষকরা।

গত কয়েক দশক ধরে হাতশেপসুত সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করছিলেন গবেষকরা। জানা গিয়েছিল তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ১৪০০ অব্দে মিসর শাসন করেন।

গত সপ্তাহে মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী এক ঘোষণায় জানান, হাতশেপসুতের সম্পর্কে বেশ বড় একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ আবিষ্কারে তার জীবনের বহু বিষয় জানা যাবে। মূল আবিষ্কারটি করেছেন জার্মান আর্কিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। তারা হাতশেপসুতের রাজপ্রাসাদ ও কয়েকটি শিলালিপির অংশবিশেষ খুঁজে পেয়েছেন।

জীবনের প্রথমাংশে হাতশেপসুতের একজন সাধারণ নারী হিসেবে থাকলেও পরবর্তীতে তিনি কড়া হাতে সমগ্র রাজ্য শাসন করেন। এ সময় তিনি অন্য ফারাও শাসকদের মতো নকল দাড়িও ব্যবহার করেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, ‘বিল্ডিংটি অবশ্যই নির্মিত হয়েছে তার (হাতশেপসুতের) শাসনকালের শুরুতে পুরুষ শাসক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করানোর আগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার শাসনকালের খুব অল্প কয়েকটি ভবনই এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে।’
এর মূল কারণ শাসনপরবর্তী সময়ে তার সব নিদর্শন কেউ মুছে বা ধ্বংস করে ফেলেছে। এ বিষয়ে মিসরের মন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় থুতমসিসের শাসনকালে তার (হাতশেপসুতের) সব নাম মুছে ফেলা হয় এবং বিভিন্ন ছবিতে তার নারী দেহের অবয়ব মুছে তাতে পুরুষের অবয়ব দেওয়া হয়। এগুলো তার মৃত স্বামীর নাম ও অবয়ব দ্বারা প্রতিস্থপিত হয়।’

তবে নতুন আবিষ্কৃত ভবন এ শাসকের বিষয়ে বিভিন্ন সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, যা ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদদের গবেষণায় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা

Related Posts

Leave a Reply