May 15, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এক ডোজ জেলেই কানের সংক্রমণ শতহস্ত দূর!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
বাচ্চাদের কানের সমস্যা অতি সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে কানের ভেতরে সংক্রমণ বেশ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত নতুন এক জেল অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জেলটি কানে সংক্রমণের ক্ষেত্রে পুরো কোর্স হিসাবে কাজ করছে। এটা অনেক নিরাপদও বলে মনে করছেন গবেষকরা।

বোস্টন চিলড্রেন্স হসপিটালের গবেষকরা জানান, অটিটিস মিডিয়া সমস্যার কারণেই মূলত শিশুদের পেডিয়াট্রিক অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তবে শিশুদের প্রতিদিন মুখে কয়েকবার এই ওষুধ দেওয়া অনেক কঠিন বিষয়। তাদের জোর করে এই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো দুঃসাধ্য বিষয়।

প্রধান গবেষক ড্যানিয়েল কোহানে জানান, এসব অ্যান্টিবায়োটিক কিছু দিন খাওয়ানোর পর অবস্থার উন্নতি কিছুটা ঘটে। তখন বাবা-মায়েরাও এভাবে আর ওষুধ প্রয়োগ করতে চান না। ফলে চিকিৎসা পূর্ণতা পায় না। ফলে আবারো অটিটিস দেখা দেয়। আবারো একইভাবে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এভাবে এক সময় অটিটিসে আর ওষুধ কাজ করে না।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রং ইয়াং জানান, মুখে প্রয়োগকৃত ওষুধের মাধ্যমে মূলত গোটা দেহের চিকিৎসা চলে। অথচ সমস্যা কেবল কানে। কিন্তু জেলের মাধ্যমে যেখানে চিকিৎসা প্রয়োজন শুধু সেখানেই কাজ চলে। আর একবার প্রয়োগ করলেই কোর্স শেষ হয়ে যায়।

জেলটি কর্ণকুহরে প্রয়োগ করা হয়। আক্রান্ত স্থানে জেলটি দ্রুত শক্ত হয়ে লেগে যায়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ানড্রামে ছড়িয়ে পড়ে।

মানুষের কানের অভ্যন্তরীন গঠনের সঙ্গে অনেকটা মেলে রোডেন্টের (বড় আকৃতির ইঁদুর বিশেষ) কান। এদের কানে অ্যান্টিবায়োটিক সিপ্রোফ্লক্সিন জেল আকারে প্রয়োগ করা হয়। এতে তাদের কানের সংক্রমণ পুরোপুরি ভালো হয়ে গেছে। এই সংক্রমণ ঘটে গেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে। ১০টি রোডেন্টের কান এই জেল প্রয়োগে ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু সাধারণ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রপ আকারে টানা ৭ দিন ধরে প্রয়োগ করার পর ৫-৮টি রোডেন্টের কান ভালো হয়েছে।

জেল প্রয়োগের ফলে কোনো বিষাক্ত ক্রিয়াও দেখা যায়নি। রক্তে কোনো বিষাক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি। এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন জার্নালে।

Related Posts

Leave a Reply