May 11, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

মধ্যমায় যদি এটি পরতে পারেন তাহলে কিন্তু জীবন বদলে যাবে!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস ;
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে হিরের আংটির সঙ্গে শুক্র গ্রহের যোগ বেজায় নিবিড়। তাই তো মূল্যবান এই পাথরটি ধারণ করলে জন্মকুষ্টিতে এই বিশেষ গ্রহটির অবস্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে। ফলে একাধিক উপকার মেলার পথ প্রশস্ত হয়, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে শুক্র গ্রহের অবস্থান জোড়াল হয়ে উঠলে একদিকে যেমন মনের মতো জীবনসঙ্গীর খোঁজ মেলে, তেমনি বৈবাহিক জীবনও অনন্দে ভরে ওঠে। শুধু তাই নয়, শুক্র গ্রহের সুপ্রভাবে আরও একাধিক উপকার মেলার পথও প্রশস্ত হয়, যেমন ধরুন- শারীরিক সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায়, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে, ক্রিয়েটিভ কাজে উন্নতির পথ প্রশস্ত হয় এবং কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনও বিশ্বাস করা হয় যে হিরের আংটি ধারণ করলে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা যেমন বাড়ে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে এবং সামাজিক জীবনে সম্মান বৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে এত সব উপকার পেতে কিন্তু মধ্যমায় হিরের আংটিটি পরতে হবে।
এই বিশেষ গ্রহটির আশীর্বাদে কী কী উপকার মিলতে পারে, তা না হয় জানা গেলে। কিন্তু শুক্র গ্রহ বিগড়ে গেলে কেমন ধরনের বিপদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, সে সম্পর্কে জেনে নিলে যে বৃত্তটি সম্পূর্ণ হবে না। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের মতে জন্ম কুষ্টিতে শুক্রের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরলে নানাবিধ রোগের আক্রামণে শরীর ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মন-মেজাজ বিগড়ে যায়, বৈবাহিক জীবনে নানা ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, ভিষণ রকম অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং সামাজিক সম্মানহানীর সম্ভাবনাও থাকে। তাই শুক্র গ্রহ যাতে কোনও ভাবেই দুর্বল হয়ে না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর সেই কাজটি করবেন কীভাবে? উত্তর একটাই। ধারণ করতে হবে হিরের একটা অংটি। তাহলেই দেখবেন সারা জীবনের মতো শুক্র গ্রহ অপনার বশে চলে আসবে। হিরের আংটি পরার আরও কিছু উপকারিতা: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হিরের অংটি পরলে যে কেবল শুক্র গ্রহের অবস্থান শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তা নয়। সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকারও পাওয়া যায়। যেমন ধরুন… 
১. খারাপ চিন্তা দূরে পালায়: হিরের অংটি পরলে একদিকে যেমন খারাপ চিন্তা দূরে পালাতে সময় লাগে না, তেমনি মনের জোর বাড়ে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও লেজুড় হয়। ফলে যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরিয়ে সফল জীবনের পথে এগিয়ে যেতে যে কোনও সমস্যাই হয় না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! 
২. কর্মজীবন চরম সফলতা লাভ : হিরের অংটি ধারণ করলে শরীর তো চাঙ্গা হয়ে ওঠেই, সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। ফলে কর্মজীবনে চরম উন্নতির স্বাদ পেতে সময় লাগে না, বিশেষত যারা ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা বেশি মাত্রায় উপকার পান। তাই তো বলি বন্ধু, নাচ, গান বা কোনও ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা চটজলদি সফলতার সিঁড়ি যদি চড়তে চান, তাহলে হিরের আংটি পরতে ভুলবেন না যেন!
৩. খারাপ কাজ থেকে দূরত্ব : শুনতে হয়তো আজব লাগতে পারে। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে হিরের অংটি পরা মাত্র শুধু শুক্র গ্রহ নয়, বাকি গ্রহ-নক্ষত্রদের অবস্থানেও এমন কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে যে তার প্রভাবে খারাপ চিন্তা এবং দুশ্চিন্তা দূর হয় চোখের পলকে। সেই সঙ্গে ভুলবশত খারাপ কাজে জড়িয়ে পরার আশঙ্কাও যায় কমে। 
৪. রোগ-ব্যাধি সব দূরে পালায়: হিরের আংটি পরলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন এবং নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, হিরের অংটি শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ছোট-বড় আরও নানাবিধ রোগও দূরে পালায়। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। 
কাদের হিরের আংটি পরা মাস্ট: জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে কবি, লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, খেলোয়াড় এবং যারা নাটক-সিনেমার সঙ্গে যুক্ত তাদের হিরের আংটি পরা বেজায় জরুরি। কারণ এমনটা করলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের সম্ভাবনা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।
প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে যারা সিল্কের কাপড়, গয়না এবং কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাদেরও হিরের আংটি পরা মাস্ট! কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকাদের হিরের আংটি পরতেই হবে: বিশেষজ্ঞদের মতে বৃষ,মিথুন,তুলা, মকর এবং কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকাদের হিরের আংটি পরাটা জরুরি! কিন্তু মেষ, সিংহ, বৃশ্চিক, ধনু এবং মীনরাশির অধিকারীদের ভুলেও এই পাথরটি ধরণ করা উচিত নয়। 

Related Posts

Leave a Reply