May 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সোডা নিত্য সঙ্গী ? শরীরের কী ক্ষতি হচ্ছে জানেন  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

নুষ্ঠান হোক বা গেট-টুগেদার, পুজো হোক বা পার্টি, যে জিনিসটি না হলে সমস্ত মজাই মাঠে মারা যায় তা হল সোডা ড্রিঙ্কস।

সোডা ড্রিঙ্কসের দারুণ মিষ্টিভাব আনতে সোডাতে মেশানো হয় ১৭ চামচ মত সুগার। যে সে সুগার নয়, এই সুগারে গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজ দুটোই থাকে। তাছাড়া সোডা ড্রিঙ্কসে দ্রবীভূত থাকে কয়েকটি অ্যাসিডও যা না থাকলে সোডা ড্রিঙ্কস খাওয়ায় কোনও মজাই নেই। এই সুগার আর অ্যাসিডগুলোই আমাদের শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে নানারকমের রোগ।
ওজন বৃদ্ধি : সোডা খাবেন আর ক্যালোরি বাড়বে না তাও কি হয়! সোডার একটা ক্যানে থাকে অন্ততপক্ষে ২০০ ক্যালোরি যা শরীরের ক্যালোরি লেভেলকে বাড়িয়ে দেয় তরতর করে। এই ক্যালোরি ঝরাতে কিন্তু অনেকটা ঘামও ঝরাতে হবে। তা যদি না করেন, শরীরে জমবে অত্যাধিক ক্যালোরি আর পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে আপনার শরীরের আয়তন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওবেসিটির মত রোগের পিছনে থাকে অত্যাধিক পরিমাণে সোডা জাতীয় ড্রিঙ্কস খাওয়ার প্রবণতা।
টাইপ 2 ডায়াবেটিস : অত্যাধিক ক্যালোরি শুধু যে ওজন বাড়ার কারণ তা কিন্তু নয়। সোডা ড্রিঙ্কস আপনার রক্তে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যথেষ্ট পরিমাণে। ইনসুলিন রক্তে এসে মিশে রক্তের সুগারকে কোশের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। তা বলে যথেচ্ছ পরিমাণে ক্যালোরি বাড়তে থাকলে ইনসুলিনের কাজ হয়ে যায় আরই কঠিন। বিদেশে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালোরি বাড়লে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যায়। এই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কিন্তু ডেকে আনে টাইপ 2 ডায়াবেটিস এর মত ভয়ানক রোগকে।
হৃদরোগের সম্ভাবনা:  হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর ইত্যাদির মত ঘটনা তো প্রায়ই ঘটে চলেছে। কিন্তু জানেন কি সোডা ড্রিঙ্কসের থেকেও এই একই বিপদ ঘটতে পারে। সোডার হাই ক্যালোরি লেভেল রক্তে শুধু সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় তাই নয়, বরং ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়ার পিছনেও এরই হাত। এছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী অন্যান্য কোলেস্টেরলের মধ্যে এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় সোডার সুক্রোজ ও গ্লুকোজ। এলডিএল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড মিলেই ব্লকেজ তৈরি করে হৃৎপিণ্ডে।
কিডনির সমস্যা এগারো বছর ধরে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মহিলার উপর একটি গবেষণা চালায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সোডা ড্রিঙ্কস পানের ফলে তাদের কিডনির কার্যক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে। ফলে কিডনির জন্যও এটি মোটেই সুখবর নয়।‌
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা : সুক্রোজ ও গ্লুকোজ লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রবেশ করতে থাকলে লিভার সুক্রোজ ভেঙে ফ্যাট উৎপন্ন করতে থাকে। এই ফ্যাটের কিছু অংশ রক্তে মিশে যায় ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে আর বাকিটা জমা হয় লিভারের মধ্যেই। এই ফ্যাট যেমন লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় দিন দিন , তেমনই হয়ে ফ্যাটি লিভারের কারণ। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিস।
দাঁতের সমস্যা :  সোডার মধ্যে সুগার ছাড়াও থাকে দুই ধরনের বিষাক্ত অ্যাসিড। একটি হল ফসফোরিক অ্যাসিড ও অন্যটি হল কার্বনিক অ্যাসিড। এই দুইই অ্যাসিডই যথেষ্ট ক্ষতিকর। সোডা ড্রিঙ্কস খাওয়ার কিছুসময়ের জন্য এই অ্যাসিড দাঁতের সংস্পর্শে আসে যা দাঁতের এনামেলকে ক্ষইয়ে দেয়। ফলে দাঁত দুর্বল হয়ে যেতে থাকে।
ক্যানসার সোডা ওবেসিটি, টাইপ 2 ডায়াবেটিস থেকে ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি নানা রোগের কারণ। আর এসবের হাত ধরেই আসে ক্যানসারের মত মারণ রোগ। বিদেশের একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের পিছনে মূল করণ হল এই সোডা ড্রিঙ্কস। শুধু তাই নয়, মহিলাদের শরীরে জরায়ুর ক্যান্সারেও এর প্রভাব রয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply