May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

প্রতি মঙ্গলবার হনুমান মন্ত্র পাঠের উপকারিতা জানলে চমকে উঠবেন 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

“ওম আম হ্রিম ক্লিম দিনানকাম্পি ধর্মত্মা প্রেমাবধি রামবল্লভা অধৈভাম মুথি ভির মে বষ্টদি সৎবরম ক্লিম হ্রিম আম ওম”, এই মন্ত্রটিকেই হনুমান মন্ত্র বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র সারা বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, সেই সঙ্গে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে নানাবিধ উপকার মিলতে সময় লাগে না। যেমন ধরুন… 

১. বিজয় নিশ্চিত হয়: নতুন কিছু কাজ শুরু করার কাথা ভাবছেন নাকি? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন সফলতার সঙ্গে শেষ হবে সেই কাজ। শুধু তাই নয়, জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা সব বাঁধা সরে যাবে। ফলে শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, পরিবারিক জীবনেও হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসবে। 

২. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হবে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবকে লাল ফুলের মালা পরিয়ে এবং তুলসি পাতা নিবেদন করে যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে হনুমানজি এতটাই প্রসন্ন হন যে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। আর মনের সব ইচ্ছা যখন পূরণ হয়, তখন জীবনের প্রতিটা দিন যে আনন্দে ভরে ওঠে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
৩. ভূত-প্রেত সব দূরে পালায়: আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু একথা তো মানবেন যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ শক্তিও। আর সুযোগ পেলে সেই নেগেটিভ শক্তি আমাদের কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, এমন খারাপ শক্তির মার থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত হনুমান মন্ত্র পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই মন্ত্রটি পাঠ করা মাত্র ভূত-প্রেত তো দূরে পালাই, সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যেতেও সময় লাগে না।
৪. মনোবল বাড়ে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার দেবের পুজো করার পাশাপাশি যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ভয় কাটে যায়। সেই সঙ্গে মনের জোর এতটাই বাড়ে যে, যে কোনও বাঁধা পেরতেই সময় লাগে না। ফলে জীবনের চলার পথটা বেজায় সহজ হয়ে যায় বৈকি।
৫. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়: হনুমান জি তাঁর ভক্তদের বেজায় ভালবাসেন। তাই তো নিয়মিত তাঁর পুজো করলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে। প্রসঙ্গত, অনেকেই আমাদের উপর খারাপ দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। এই কু-দৃষ্টির প্রভাব কাটতেও সময় লাগে না যদি হানুমান মন্ত্র পাঠ করা যায় তো। শুধু তাই নয়, জীবনের যে কোনও বাঁকে কেনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। 

৬. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে: শাস্ত্র মতে হনুমান মন্ত্র পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। আর বুদ্ধির ধার যখন বাড়ে, তখন চাকরি হোক কী ব্যবসা, যে কোনও ক্ষেত্রেই সফলতা যে রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে, তা তো বলাই বাহুল্য! 

৭. দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়: শুনতে হয়তো আজব লাগছে। কিন্তু শাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে প্রতি মঙ্গলবার ১০৮ বার হনুমান মন্ত্র পাঠ করা শুরু করলে দৈহিক ক্ষমতার বিকাশ ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানা রোগ সব দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। 

৮. সাড়ে সাতির প্রভাব কমে: আপনার জন্ম কুষ্টিতে কি শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার যোগ রয়েছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই হনুমান মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। দেখবেন আপনার উপর শনি দেবের বক্র দৃষ্টি পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একবার শনিদেব নাকি বিষণ বিপদে পরেছিলেন। সেই সময় হনুমানজি তাঁকে সেই বিপদ থেকে বাঁচিয়েছিলেন। আর সেই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শনিদেব, হনুমানজিকে কথা দেন যে তার কোনও ভক্তের উপর শনির প্রকোপ পরবে না। সেই থেকেই শনিদেবকে প্রসন্ন করতে শুরু হয় হনুমানজির পুজো। 

৯. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান জির পুজো করা শুরু করলে ভাগ্যের দোষ কাটতে শুরু করে। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা হলে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবান যে বেড়ে যায়, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে! ১০.বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার মারুথির পুজো করার পর যদি এক মনে ১০৮ বার হনুমান মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়।     

Related Posts

Leave a Reply