প্রতি শুক্রবার লক্ষ্মী মহা মন্ত্র জপে খুলে যাবে সৌভাগ্যের দরজা
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সিংহভাগেরই আজানা লক্ষী মন্ত্রটি পাঠ করলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভের পথ প্রশস্ত হয়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি আরও নানা সব উপকার পাওয়া যায়। “ওম হ্রিম শ্রিম লক্ষ্মী ভায়ো নমহঃ”, এই মন্ত্রটিকেই লক্ষ্মী মহা মন্ত্র বলা হয়ে থাকে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শুক্রবার মায়ের পুজো করার পর এক মনে যদি এই মন্ত্রটি ১০৮ বার পাঠ করা যায়, তাহলে মায়ের নেক দৃষ্টি পরে তার ভক্তের উপর।সঙ্গে বাড়ে একাধিক লাভ। যেমন-
অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়: মা লক্ষ্মী হলেন অর্থ এবং সমৃদ্ধির দেবী। তাই তো মাকে একবার প্রসন্ন করতে পারলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না।
রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ছোট-বড় সব রোগই দূরে পালায়। শুধু তাই নয় শরীরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
ব্যবসায় চরম উন্নতি : আপনি কি কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত? তাহলে বন্ধু প্রতি শুক্রবার লক্ষ্মী মহা মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রচি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্থে মায়ের প্রবেশ ঘটে। ফলে ব্যবসায় একের পর এক সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি : এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি প্রমোশন পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটতেও সময় লাগে না।
খারাপ শক্তির প্রকোপ কমে বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মানতেই হবে যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ বা খারাপ শক্তিও। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি জপ করা মাত্র বাড়ির প্রতিটি অংশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ঘর ছাড়া হতে সময় লাগে না।
মনের যে কোনও ইচ্ছা পূরণ : গৃহস্থে যখন পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর এমনটা যখন হয়, তখন মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
পড়াশোনায় উন্নতি : শাস্ত্র মতে প্রতিদিন মায়ের পুজো করার পাশাপাশি লক্ষ্মী মহা মন্ত্র পাঠ করলে বাচ্চাদের মনোযোগ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা কমে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মহা লক্ষ্মী মন্ত্র জপ করা শুরু করলে জীবনের প্রতিটি বাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আর বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত যখন ঠিক হয়, তখন জীবনের ছবিটা বদলে যেতে যে সময় লাগে না, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে।
