May 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali ধর্ম

এক গ্লাস জল এভাবেই চেনাবে অশুভ শক্তি

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

যেখানেই আমরা বসবাস করি না কেন, নির্দিষ্ট কিছু শক্তি আমাদের ঘিরে রাখে। আমার ঘরগুলো হচ্ছে এমন একটি ঐক্যের জায়গা যেখানে অনেক ধরনের শক্তির অবস্থান বিদ্যমান। চিন্তা, অনুভূতি ও আবেগ- এগুলো নির্দিষ্ট ধরনের শক্তির উৎস। কিন্তু এগুলো ভিন্ন/নেতিবাচক শক্তিকেও আকর্ষণ করে। 

নেতিবাচক আবেগ, চিন্তা, কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও এসব শক্তির উদয় হয়। ঘর হলো স্পঞ্জের মতো। এখানে যাই ঘটুক না না কেন তার দেওয়াল, আসবাবপত্র, কার্পেট, ছাদ ও অন্যান্য বস্তু তা শুষে নেয়। কিন্তু বারবার নেতিবাচক শক্তি শুষে নেয়ার ফলে সেখানে স্তুপ হয়ে যায়। আর তাই ঘর থেকে এসব অশুভ/নেতিবাচক শক্তি শনাক্ত করা জরুরি।  

না হলে এসব শক্তি আপনার সারাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকবে। আপনি অর্থ সঙ্কটে পড়তে পারেন, পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার সম্পর্কগুলোও এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, সংসারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। । এসব উপসর্গ প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় না। তাই ঘরে নেতিবাচক শক্তি আছে কী না তা পরীক্ষা করুন।  

পরীক্ষাটি শুরুর আগে জানতে হবে, আপনি যে ঝামেলায় পড়েছেন তার আসল কারণ কী। নেতিবাচক শক্তিগুলো তার পেছনে দায়ী নাও থাকতে পারে। যদি আপনি নির্দিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করতে না পারেন তবে নিচের কৌশলটি অবলম্বন করুন।

নেতিবাচক শক্তি শনাক্তের উপায়- প্রথমে একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাস নিন। তাতে কোনো রঙ কিংবা পেইন্টিং থাকা যাবে না। এবার গ্লাসে সামুদ্রিক লবণ রাখুন যাতে গ্লাসের তিন ভাগের একভাগ ভরে যায়। এবার তাতে তিনভাগের একভাগ ভিনেগার রাখুন। বাকিটা জল দিয়ে পূর্ণ করুন। তারপর এমন জায়গায় রাখুন যেখানে আপনার মনে হয় অশুভ শক্তি বেশি শক্তিশালী।  

গ্লাসটি লুকিয়ে সারাদিন রেখে দিন। এটা নিশ্চিত করুন যে, ওই জায়গা থেকে গ্লাসটি কেউ সরাবে না। ২৪ ঘণ্টা পর গ্লাসটি পরীক্ষা করুন। আপনি যেমন রেখেছেন গ্লাসটির ভেতরকার অবস্থা যদি তেমনই থাকে তাহলে বুঝে নিন সেখানে কোনো নেতিবাচক শক্তি নেই। আপনি ঘরের অন্য কোনো কক্ষে গ্লাসটি রেখে কৌশলটি ব্যবহার করতে পারেন।  

যদি গ্লাসের মধ্যে প্রচুর বুদবুদ থাকে এবং অন্য কোনো পরিবর্তন লক্ষিত হয় তবে বুঝে নেবেন সেখানে অবশ্যই কিছু সমস্যা আছে। আপনি এ পদ্ধতিটি পুনরায় অনুসরণ করুন। ততক্ষণ পর্যন্ত এটা করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত গ্লাসটি আপনি যেমন রেখেছেন তেমনই না থাকে।  

গ্লাসের উপাদানে কোনো পরিবর্তন আসলে তা শৌচাগারে ফেলে ফ্ল্যাশ করে দিন দিন। এর মাধ্যমে ঘরে যেসব নেতিবাচক শক্তি জড়ো হয়েছে তা দূর হয়ে যাবে। যদি মনে হয় এখনো আপনার আশেপাশে অশুভ শক্তি ঘোরাফেরা করছে তাহলে পদ্ধতিটি বারবার অনুসরণ করুন। গ্লাসের জল যতসময় পর্যন্ত পরিবর্তন হতে থাকবে ততসময় পর্যন্ত। জল ঠিক থাকলে পরীক্ষা বন্ধ করুন।

Related Posts

Leave a Reply