May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভুলেও হাঁচি আটকালে সোজা জমালয়ে 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

হাঁচির সময় নাক বা মুখ বন্ধ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে এত মাত্রায় চাপ বৃদ্ধি পায় যে দেহের অন্দরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমনকি মস্তিষ্কে চোট লাগার কারণে হতে পারে মারাত্মক কিছুও। তাই ভুলেও হাঁচিকে আটকাবেন না যেন!

কখন হাঁচি আসে? 
আসলে যখন আমাদের শরীর, পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানের কারণে হওয়া সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়, তখনই সাধারণত হাঁচি আসে। তাই তো একথা বলতেই হয় যে হাঁচি একেবারেই খারাপ কিছু নয়, বরং শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। সেই কারণেই এবার থেকে বারে বারে যখন নাক সুরসুরিয়ে হাঁচি আসবে, তখন জানবেন শরীর আপনাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তো শরীরের এই ডিফেন্স মেকানিজমকে মাঝ পথে বাঁধা দিতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

আমাদের শরীরে যখন নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার চেষ্টা করে, তখন শরীরের বিশেষ একটা মেকানিজম অ্যাকটিভেট হয়ে গিয়ে হাঁচি শুরু হয়। হাঁচির চোটে সেই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলি আমাদের শরীর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার/প্রতি ঘন্টা স্পিডে বাইরে বেরিয়ে আসে। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা কমে। এবার বুঝলেন তো সুস্থ থাকতে বারে বারে হাঁচি আসাটা কতটা জরুরি।

হাঁচি আটকানো ক্ষতিকারক কেন?
হাঁচির সময় প্রায় ১০০-১৬০ কিলোমিটার/প্রতি ঘন্টা গতিতে বায়ু নাকের ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই সে সময় যদি এই বায়ু প্রবাহকে জোর করে আটকানো হয়, তাহলে তা সম গতিতে শরীরের ভিতরে চলে যায় এবং একাধিক অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে। যেমন ধরুন কানে যদি এর প্রভাব পরে তাহলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। ফলে কালা হয়ে যাওয়ার অশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়, হাঁচি আটকালে শরীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে শুরু করে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

চোখ, ঘাড় এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়
রাজধানী ট্রেনের যে গতিবেগ, সেই সমান স্পিডে বায়ু প্রবাহ যখন চোখ এসে ধাক্কা মারে তখন একাধিক নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যায়। এই কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং অন্ধত্বেরও আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যদি ঘারে এর প্রভাব পরে তাহলে মারাত্মক নেক ইনজুরি হতে পার। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই গতি বেগে বায়ু প্রবাহ মস্তিষ্কের একাধিক নার্ভে গিয়ে আঁছড়ে পরলে অনের ক্ষেত্রেই স্টোক এবং সেই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই বাঁচতে চাইলে এবার থেকে হাঁচি এলে আর আটকাবেন না দয়া করে।

কেন আমরা হাঁচি আটকে থাকি?
সামাজিকতার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ এমনটা করে থাকেন। লোক সমাজে থাকলে বা মিটিং- এ থাকাকালীন হাঁচি এলে অনেকেই মনে করেন সম্মান চলে যাবে, তাই সঙ্গে সঙ্গে পকেটে হাতটা চালান হয়ে যায় আর নাকের সামনে এসে যায় রুমাল। আশা করা যেতে পারে এবার থেকে নিশ্চয় আর এমনটা করবেন না। কারণ সামাজিক সম্মানের থেকে মনে হয় সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই না!

 

Related Posts

Leave a Reply