May 15, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াও আটকানো যায়, যদি  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

স্টিওপেনিয়া হলো এমন একটি দশা যা হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অস্টিওপেনিয়ার লোকদের হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলেও এ দশাটি অস্টিওপোরোসিসের মতো তীব্র নয়।

অস্টিওপেনিয়ার লোকেরা অস্টিওপোরোসিসের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকে, যদি এ দশাটির চিকিৎসা করা না হয়। এ প্রতিবেদনে অস্টিওপেনিয়া অথবা হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া সমস্যায় বিকল্প ৩টি ঘরোয়া চিকিৎসা থেরাপি উল্লেখ করা হলো। তবে সঠিক পরামর্শ অথবা স্ট্যান্ডার্ড কেয়ারের জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না।

তাই চি চর্চা করুন

তাই চি চীনের একটি প্রাচীন মার্শাল আর্ট, যেখানে ধ্যান ও গভীর শ্বাসের সমন্বয়ে ধীরে নড়াচড়া করা হয়। ২০০৭ সালে অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত ৪৯ জন বয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন, ১৮ সপ্তাহ ধরে তাই চি ট্রেনিংয়ে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক ভারসাম্য বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমেছিল। একই বছরে প্রকাশিত একটি সিস্টেমেটিক রিভিউ অনুযায়ী, মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে গেছে এমন নারীদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ধরে রাখার জন্য তাই চি একটি কার্যকর, নিরাপদ ও ব্যবহারিক ক্রিয়া হতে পারে। যদিও এ রিভিউর লেখকরা উল্লেখ করেছেন যে, তাই চি’র হাড় রক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া জানতে যে গবেষণাগুলো পরিচালনা করা হয়েছে তাতে সীমাবদ্ধতা ছিল।

গ্রিন টি পান করুন

২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রিন টি পানে হাড় গঠনকারী কোষের কার্যক্রম বেড়ে যায় এবং হাড় দুর্বলকারী কোষের কার্যক্রম থেমে যায়। এভাবে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান

৪৪৮ জনের ওপর পরিচালিত ২০০৬ সালের একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপোরোসিস রোগীদের মধ্যে ভিটামিন ডি ঘাটতি বা অপর্যাপ্ততা বেশ কমন। ভিটামিন ডি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে- এ খনিজটি (ক্যালসিয়াম) হাড় গঠন ও রক্ষার প্রধান উপাদান। সূর্যের আলো থেকে শরীর ভিটামিন ডি উৎপাদন করে। কিন্তু যেহেতু ত্বকে অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি খাবার ও সাপ্লিমেন্ট থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পরামর্শ দিচ্ছে।

* ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেহেতু বার্ধক্য প্রক্রিয়া হাড়ের খনিজ ঘনত্ব হ্রাস করে, তাই একজন মানুষ যতই বার্ধক্যের দিকে এগুতে থাকে, অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি ততই বাড়তে থাকে। এছাড়া পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপোরোসিসের প্রবণতা বেশি- এর কারণ হলো, প্রকৃতিগতভাবে নারীদের হাড়ের খনিজ ঘনত্ব কম এবং তাদের মাসিক চক্র বন্ধের সময় সংঘটিত কিছু হরমোনগত পরিবর্তন হাড়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অন্যান্য যেসব বিষয় অস্টিওপেনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় তা হলো-

* ভোজন ব্যাধি বা অন্যান্য সমস্যা যা শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন শোষণ করতে দেয় না।

* রেডিয়েশন থেরাপি ও কেমোথেরাপি নেয়া।

* অস্টিওপোরোসিসের পারিবারিক ইতিহাস।

* অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান।

* কিছু ওষুধের ব্যবহার, যেমন- স্টেটয়েড।

* হাড়ের স্বাস্থ্য ধরে রাখার কিছু উপায়

আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এসব স্ট্রাটেজি সহায়ক হতে পারে-

* পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা (প্রতিদিন ১,০০০ থেকে ১,৫০০ মিলিগ্রাম- আপনার বয়স, খাবার ভোজন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য অবস্থার ওপর নির্ভর করছে)।

* নিয়মিত এক্সারসাইজ করা (ভারোত্তোলন ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত)।

* ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান সীমিত করা।

* ধূমপান বর্জন করা।

Related Posts

Leave a Reply