May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

প্রতিদিন খেজুর খেলেই খেল  শেষ ?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :   
সুস্বাদু এই মরু ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন। তাই তো প্রতিদিন সকালে ৩-৪ টে খেজুর খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত যারা কনস্টিপেশন বা কোনও ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য় তো এই ফলটি মহৌষধির কম নয়! এখানেই শেষ নয়, খেজুরের আরও অনেক উপকারিতা আছে, যেমন…
১. একাধিক পেটের রোগের প্রকোপ কমায়: প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৩ টে করে খেজুর খেলে শরীরে অন্দরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
২. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।
৩. অ্যানিমিয়া রোগকে দূরে রাখে: শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনও সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? এই ছোট্ট ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধি। তাই তো অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিসেষ বূমিকা নেয়।
৪. অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়: ২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছিল খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে
৫. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে “এল ডি এল” বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।
৬. ওজন বাড়ায়: নানা কারণে যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে, তারা আজ থেকেই খেজুর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটিতে উপস্থিত ক্যালরি শরীরে ভাঙন রোধ করে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ: খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রযেছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।
৮. এনার্জির ঘাটতি দূর করে: এই ফলটির অন্দরে থাকা প্রকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর এমন মাত্রায় খেল দেখাতে শুরু করে যে শরীর একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই ক্লান্ত লাগবে এক-দুটো খেজুর খেয়ে নেবেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!
৯. নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: খেজুরে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতেও এই ফলটি দারুনভাবে সাহায্য করে। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন বাচ্চাদের প্রতিদিন কেন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

Related Posts

Leave a Reply