May 10, 2024     Select Language
KT Popular অন-এ-প্লেট

লাগবে না ডাক্তার-ওষুধ, বাড়ির ৮টি পথ্যেই রোগ বিদায়

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মায়েদের কথাই ঠিক। গরমে বাড়িতে বেলের পান্না, মেথি ভেজানো জল কিংবা গরম গরম মুরগির স্যুপ ঠাণ্ডায় উপকারী। এমন বাড়িতে অনেক পথ্য তৈরি করা যায় যা নানা শারীরিক সমস্যায় দারুণ কাজ করে। বিশেষজ্ঞর এখানে এমনই বাড়িতে তৈরি কিছু জিনিসের কথা তুলে ধরেছেন যা পথ্য হিসাবে কার্যকর। এগুলো অনেকের কাছে বিদঘুটে মনে হতে পারে। কিন্তু এগুলো বেশ প্রচলিত।

১. গার্গেল : ঠাণ্ডায় গলার সমস্যায় পানি দিয়ে গার্গেল করলে উপকার মেলে। এক গবেষণায় ৪০০ জনের ওপর পরীক্ষা করা হয়। হালকা উষ্ণ জলে গার্গেল করলে গলার রেসপাইরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন প্রশমিত হয়। কেবল সাদা জলই গার্গেলই যথেষ্ট।

২. বমি বমি ভাবের জন্য আদা : অনেক কারণেই বমি ভাব আসতে পারে। এ থেকে রেহাই পেতে আদা দারুণ উপকারী। সি সিকনেস, মর্নিং সিকনেস এবং কেমোথেরাপির কারণে বমি ভাব আসলে আদা অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে। এ ছাড়াও গ্যাস বা হজমের সমস্যায় আদার জুড়ি নেই। এ তথ্য দেন নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অব ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটলজির প্রফেসর ড. স্টিফেন হানায়ুর।

৩. মুরগির স্যুপ : ঠাণ্ডা-সর্দিতে মুরগির স্যুপ জাদুর কাজ করে। ফ্লুতে অসুস্থ হলেই এই স্যুপ খেয়ে দেখুন। এক গবেষণায় প্রদাহের ওপর মুরগির স্যুপের প্রভাব দেখার চেষ্টা করেন গবেষকরা। দেখা যায়, এতে নিউরোফিলসের চলাচল ধীর হয়ে আসে। অর্থাৎ, স্যুপ সংক্রমণের প্রদাহ প্রশমিত করে।

৪. কানে জল গেলে ভিনেগার : আগের দিনের মানুষরা কানে পানি গেলে সেখানে সরিষার তেল দিতেন। তারপর এই তেলের সঙ্গে বেরিয়ে আসতো কানের জল। আমেরিকার বিখ্যাত মাইয়ো ক্লিনিকের গবেষণায় বলা হয়, কানে জল গেলে ভিনেগার এবং অ্যালকোহলের মিশ্রণ এক চা চামচ দুই কানে দিয়ে দিয়ে জল বেরিয়ে আসে।

৫. সাদা দাঁতের জন্য আপেল ও গাজর : সাদা দাঁতের জন্য বেশ উপকারী টাটকা আপেল ও গাজর। এদের কামড়ে খাওয়ার সময় তা দাঁতে ব্রাশের মতো কাজ করে। এ ছাড়া আপেলে আছে ম্যালিক এসিড যা এনামেলকে সাদা করতে সহায়তা করে।

৬. কাশির জন্য মধু : কাশির সিরাপের স্বাদ বেশ বিস্বাদ। তাই দারুণ মজার মধু খেতে পারেন। বহুকাল ধরে মধু কাশি উপশমে কাজ করে আসছে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় ৩০০ শিশুকে মধু খাওয়ানো হয়। তাদের কাশি হলে প্রতিরাতে প্রত্যেককে ১০ গ্রাম করে মধু দেওয়া হতো। গবেষণায় মধু খাওয়াতে সব শিশু উপকৃত হয়।

৭. মাথাব্যথায় বরফ : মাথাব্যথা হলেই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। এর জন্য মাথায় আইসব্যাগ দিয়ে রাখুন। এ ছাড়া ঘাড়ে যদি এই ব্যাগ রাখা যায় তাহলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমে আসে বলে ২০১৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয়।

৮. আঁচিলে ডাক্ট টেপ : ত্বকে আঁচিল ওঠে প্যাপিলোমাভাইরাসের কারণে যাকে বলা হয় এইচপিভি। এক ধরনের সংক্রমণে এরা ছড়িয়ে পড়ে। ২০০২ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, আঁচিলের ওপর ডাক্ট টেপ লাগিয়ে রাখলে এগুলো দূর হয়। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে। আঁচিলের অংশটি পরিষ্কার করে নিন। এর ওপর ডাক্ট টেপ পেঁচিয়ে রাখুন কয়েক দিন। এক সময় তা দূর হবে এবং তখন টেপ তুলে ফেলুন।

Related Posts

Leave a Reply