May 15, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

চমকে উঠবেন : আধুনিক নামিদামী তালাদেরও দশ গোল দিতে পারে এই আশ্চর্য তালা খোলার পদ্ধতি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

প্রভুর সম্পত্তি আগলে আছেন এক সৈনিক। মাথায় বাঁকানো হ্যাট। হাতে তরোয়াল। দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে সমস্ত মূল্যবান সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব যেন তিনি তাঁর বলিষ্ঠ কাঁধেই তুলে নিয়েছেন। কিন্তু সত্যি পারবেন কি? কেননা এ সৈনিক যে স্রেফ একটা ধাতব মূর্তি! ধাতব সৈনিক কি সত্যিই সম্পত্তি রক্ষা করতে সমর্থ? এই আশ্চর্য তালার কায়দাকানুন জানলে বোঝা যাবে, ধাতব হলেও সৈনিক তাঁর নিজের কাজই করে চলেছেন। কোনওভাবেই তাঁর নজর এড়িয়ে এ তালা খোলা যাবে না।

ব্যাপারটা কীরকম?
ছাপোষা এ তালা যত সাধারণ দেখতে আদতে কিন্তু তা নয়। বরং আধুনিকতায় ফিলহাল সিকিউরিটি ফিচার্সের নামিদামী তালাদেরও দশ গোল দিতে পারে এই তালা। ১৬৮০ সালে এ অদ্ভূত তালা তৈরি করেন জন উইলকস। সাধারণভাবে এ তালার সামনে দাঁড়ালে মাথামুণ্ডু কিছুই বোঝা যাবে না। কোন কায়দায় যে তা খোলা যাবে তা তো দূর অস্ত, চাবি ঢোকানোর রাস্তা খুঁজতেও হিমশিম খেতে হবে। কেননা সবই লুকিয়ে রেখেছে ওই ধাতুর সৈনিক। ঠিক রাজা-বাদশাহদের আমলে সিন্দুক বা গুপ্তদ্বার খোলার যে প্রক্রিয়া ছিল এখানেও ব্যাপারটা সেরকম। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পে মিলবে এক ধর্মচক্রের কথা। যার ঠিক মাঝের ছিদ্রে তীর বিঁধতে পারলে তবেই রাজপ্রাসাদের গুপ্তদরজার কবাট খুলত। এ তালাতেও যত রহস্য ওই সৈনিককে ঘিরেই। কোনওভাবে যদি সৈনিকের টুপি বা হ্যাটে হাত পড়ে তবেই চমক। কেননা টুপি বাঁদিকে হেললে তবেই সরবে তালার একটা অংশ।

কিন্তু চাবি প্রবেশের স্থান কোথায়? আবার শরণাপন্ন হতে হবে সৈনিকেরই। মাথার ঘাম এবার সত্যিই পায়ে ফেলতে হবে। কেননা সৈনিকের পায়েই লুকনো আছে সেই ছিদ্র। এর সন্ধান মিললে তবেই তালা খোলার পালা। তাও একবার নয়, দু’বার ঘোরানোর পরই খুলবে তালা।

কিন্তু যে কেউ কি তালা খুলতে পারে? তালার ঠিক গায়েই যেটি সাধারণ চক্র বলে মনে হচ্ছে, সেখানে লুকনো আছে আর এক জাদু। প্রতিবার তালা খোলা-বন্ধ করায় সৈনিকের তরোয়াল নির্দেশ করছে এক একটি সংখ্যাকে।

একটি ছোট বোতামে চাপ দিয়েই সে সংখ্যাকে নিজের ইচ্ছেমতো করে সাজিয়ে নেওয়া যায়। অনেকটা এখনকার ব্রিফকেস বা ট্রলি ব্যাগে যেরকম পদ্ধতি থাকে।

ফলে অন্য কেউ এ তালা যদি মাথা খাটিয়ে খুলতেও পারেন, তবে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার। আর সে চেতাবনি দেওয়া আছে তালার গায়েই।

Related Posts

Leave a Reply