May 19, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ছাতু খেলে কি হয়?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

ছাতু খেলে শরীরের নানাবিধ উপকার তো হয়ই, সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকার কারণে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার।

শরীরকে রোগমুক্ত করে : বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় : প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এই দুটি উপদান ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একদিকে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, আর অন্যদিকে, প্রোটিন শরীরের অন্দরে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করে। ফলে সার্বিকবাবে শরীর, ত্বক এবং চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়। এইসবকটি উপাদানই ছাতুতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে।

এনার্জির ঘাটতি দূর হয় : ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ হওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

বয়স্কদের জন্য উপকারি পানীয় : বয়স যত বাড়তে থাকে, তত নানাবিধ শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও কিন্তু ছাতু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ৬০ বছরের পর থেকে যদি নিয়মিত ছাতু খাওয়া যায় তাহলে একাধিক বয়সকালীন রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগই পায় না। ফলে শেষ বয়সটা বেজায় নিশ্চিন্তেই কেটে যায়।

স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় : প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতুর সরবত নিয়মিত খেলে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয়। আরও নানা উপকারে লাগে ফাইবার। যেমন ধরুন, প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ তেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তা স্টমাক থেকে বের করে দিতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সুস্থ থাকতে বাচ্চাদের খেতেই হবে : শরীরের যথাযত বৃদ্ধির জন্য় যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে তা সবই উপস্থিত রয়েছে ছাতুতে। তাই তো বাজার চলতি হেলথ ড্রিঙ্কের পরিবর্তে নিয়মিত যদি বাচ্চাদের ছাতু খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকালে লাগে। প্রসঙ্গত, এই দেশীয় হেলথ ড্রিঙ্কে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অয়রন হাড় এবং দাঁতের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারি পানীয় : গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিক রোগীরও ইচ্ছা হলে ছাতু খেতে পারেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ছাতুর সরবত খেলে রক্তচাপ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই যারা হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন, তারা এই খাবারটি নিয়মিত খেলে উপকার পেতে পারেন।

মেয়েদের শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে : পিরিয়ডের সময় শরীরে দেখা দেওয়া পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে ছাতুর সরবতের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ যেমনটা আগেও আলোচন করা হয়েছে, ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের সচলতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে

Related Posts

Leave a Reply