May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভিটামিন ট্যাবলেটেই ভরসা ? কি সর্বনাশ ডাকছেন জানেন …

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রীর দুর্বল লাগছে, একটা ভিটামিন ট্যাবলেট লিখে দেবেন? প্রায়ই ডাক্তারের কাছে বায়না করেন অনেকে৷ অনেক সময় আবার নিজেরাই ওষুধের দোকান থেকে সরাসরি কিনে দু’-একটা ট্যাবলেট খেয়ে নেন৷ পরিণতি? ফ্যাট দ্রবীভূত ভিটামিনের আধিক্যে শরীরে নানা সমস্যা হয়৷ শুধু বড়রাই নন, সমস্যা হয় শিশুদেরও। ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ালে শিশুর মোটা হওয়ার ধাত বাড়ে, হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি হয়৷

ভিটামিন ট্যাবলেট খেলেই সুস্থ থাকা যায়, এটা আদতে একটা ভ্রান্ত ধারণা। প্রয়োজনীয় ভিটামিন দৈনন্দিন খাবারের মধ্য দিয়ে শরীরে পৌঁছলে তবেই উপকার মেলে৷আর, ভিটামিনের সব উৎস রয়েছে বাঙালির প্রতিদিনের খাবারেই৷সে কথায় আসার আগে একটু জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন কী এবং ওষুধের চেয়ে খাবার কেন উপকারী!

ভিটামিন কী?

ভিটামিন এক রকমের অরগানিক যৌগ, যার স্বল্প পরিমাণই মানবদেহের সাধারণ মেটাবলিজম অব্যাহত রাখে৷ দৈনন্দিন খাদ্যদ্রব্য ও সূর্যরশ্মি থেকে আমরা এই যৌগ পাই৷ ভিটামিন সাধারণত দু’রকমের৷

ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন: এই ভিটামিন মানবদেহের ফ্যাট টিস্যুর মধ্যে বা লিভারেও থাকতে পারে৷ ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে হল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন৷ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন: এই ভিটামিন মানবদেহে জমা থাকে না৷ এগুলি প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বাইরে নির্গত হয়ে যায়৷ যেমন- ভিটামিন বি এবং সি৷

ট্যাবলেট না খাবার– কোনটা ভাল?

প্রস্রাবের সঙ্গে দেহের বাইরে নির্গত হয়ে যায় বলে ভিটামিন বি এবং সি-এর অতিরিক্ত মাত্রা তেমন সমস্যা সৃষ্টি করে না। কিন্তু ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে ফ্যাট সলিউবল হওয়ায় এর আধিক্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়৷ যেমন,

• প্রচুর বমি হওয়া (ভিটামিন ডি-এর আধিক্য)

• অসহ্য মাথা যন্ত্রণা (ভিটামিন এ-এর আধিক্য)

• ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া (ভিটামিন ডি-এর আধিক্য)

• রক্ত জমাট বাঁধা (ভিটামিন কে-এর আধিক্য)

শরীরে ভিটামিনের মাত্রা:

ব্যক্তিবিশেষে ভিটামিনের চাহিদা আলাদা হয়৷ সেটা মাথায় রেখে প্রাকৃতিক উৎস থেকেই ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত৷ তবে, যাঁদের সেই সুযোগ কম থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ট্যাবলেট কিংবা টনিক ব্যবহার করা উচিত৷ যদিও কোনও কিছুরই বেশি ব্যবহার শরীরের পক্ষে ভাল নয়- সেদিকে যেন খেয়াল থাকে!

ভিটামিনের ধরনউৎস এবং অভাবে অসুখ:

ভিটামিন এ:

ফ্যাট সলিউবল৷ কাজ দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা৷ উৎস- লিভার, কর্ড লিভার অয়েল, গাজর, ব্রকোলি, রাঙা আলু, মাখন, চিজ, কুমড়ো, ডিম, দুধ৷ অসুখ- ভিটামিন A-র অভাবে রাত কানা রোগ, ক্যারাটো ম্যালেশিয়া এবং ড্রাই কর্নিয়া হয়৷

ভিটামিন বি:

ওয়াটার সলিউবল৷ ভিটামিন বি সাধারণত বি১, বি২, বি৩, বি৬, বি৯ এবং বি১২- এই কটি ভাগে বিভক্ত৷ যা নার্ভ ঠিক রাখে ও রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে৷

উৎস- মাছ (টুনা, স্যালমন), মুরগি, গরু, কলা, ব্রকোলি, দুধ, দই, বিনস, বাদাম, হোল গ্রেইন মাশরুম, সূর্যমুখী দানা, শাকপাতা, গাজর৷

অসুখ- ভিটামিন বি-র অভাবে মূলত বেরি বেরি রোগ, স্নায়ুর অসুখ, অ্যানিমিয়া এবং হার্টের সমস্যা হতে পারে৷

ভিটামিন সি:

পানিতে দ্রবণীয়৷ মানবদেহের দাঁত ও রক্তে কাজে লাগে৷উৎস- লেবু, সবুজ শাক-সবজি, গোলমরিচ, ব্রকোলি, বেরি, টক জাতীয় ফল, টমেটো, শুঁটি জাতীয় সবজি৷ অসুখ- এর অভাবে অ্যানিমিয়া ও দাঁতে স্কার্ভি রোগ হয়৷

ভিটামিন ডি:

ফ্যাট সলিউবল৷ মানবদেহের হাড় তৈরিতে সাহায্য করে৷ উৎস- তৈলাক্ত মাছ, ডিম, গরুর যকৃৎ, মাশরুম, দুধ, কর্ড লিভার তেল, মার্জারিন, কমলালেবু৷ এছাড়া ভিটামিন ডি-র মূল উৎস হল সূর্যরশ্মি৷ অসুখ- এর অভাবে বাচ্চাদের রিকেট রোগ হয়। এছাড়া প্রেগন্যান্সির সময় হবু মা অস্টিও ম্যালেশিয়া বা হাড় ভঙ্গুর হওয়ার রোগে ভোগেন৷

ভিটামিন ই:

ফ্যাটে দ্রবণীয়৷ রক্ত তৈরিতে কাজে লাগে৷

উৎস- আমন্ড, দুধ, ডিম, অ্যাভোগাডো, বাদাম, সবুজ শাকপাতা, গম, ভেজিটেবিল অয়েল৷

অসুখ- এর অভাবে সদ্যোজাত শিশুদের হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া হতে পারে৷

ভিটামিন কে:

ফ্যাট সলিউবল৷ রক্তে এটি বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেয়৷

উৎস- সবুজ শাক-সবজি, অ্যাভোগাডো, পার্সলে পাতা৷

অসুখ- এর অভাবে ব্লিডিং ডাইথেসিস হতে পারে৷

Related Posts

Leave a Reply