May 21, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দিনে মাত্র তিন কাপ তাহলেই খেল খতম!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ম্প্রতি একটা আজব তথ্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এইচ আই ভি এবং হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা যদি দিনে তিন কাপ করে কফি খান, তাহলে এই দুই রোগের কারণে হতে পারা বাকি জটিল রোগগুলি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, এইচ আই ভি রোগীদের এক সময় গিয়ে লিভার ডিজিজ এবং হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পর্যান্ত পরিমাণে কফি খেলে এই আশঙ্কা অনেটাই কমে। কিভাবে কফি এই কাজটি করে থাকে? গবেষণায় দেখা গেছে কফিতে উপস্থিত পলিফেনল লিভারকে সরক্ষা প্রদান তো করেই, সেই সঙ্গে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনও কমায়।

প্রসঙ্গত, ১০২৮ জন এইচ আই ভি এবং হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত রোগীদের ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা লক্ষ করেছেন, নিয়মিত যেসব রোগীরা কফি খেয়েছেন, তাদর আয়ু বাকিদের থেকে বেড়েছে। আর এমনটা হওয়ার পিছনে পলিফেনলই দায়ি। তাই বন্ধুরা, জানি এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনটা খুব একটা ভাল কাটছে না। তবে বলি সামান্য কিছু করাতে যদি একটি কষ্ট কমে, তাহলে ক্ষতি কী! তবে কফির উপকারিতা এখানেই থেমে থাকে না। প্রতিদিন চিনি ছাড়া কফি খেলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন…

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করে: এটি হল এমন একটি উপাদান যা আমাদের সুস্থ রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে এই উপাদানটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। অন্যদিকে, রক্তে ভেসে বেরনো ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। আর ভাবুন প্রতিদিন কফি খেলে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাহলে আপনিই বলুন, কফি শুধু পানীয়, নাকি আরও অনেক কিছু!

২. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে: অস্ট্রিয়ান গবেষকরা প্রমাণ করেছেন প্রতিদিন এক কাপ কফি খেলে মস্তিষ্কের যে অংশটা স্মৃতিশক্তিকে ধরে রাখে, সেই জায়গাটি এতটা অ্যাকটিভ হয়ে যায় যে মেমরি বাড়তে শুরু করে। তবে কিভাবে এমনটা হয়ে থাকে, সে বিষয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

৩. ব্রেন পাওয়ার বাড়ে: প্রতিদিন কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের ডিজেনারেশন, অর্থাৎ বুড়ো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এক কথায় খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও ব্রেনের বয়স কিন্তু বাড়ে না। ফলে স্মৃতি লোপ বা বুদ্ধিহীনতার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে অ্যালঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

৪. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: একটা ডাচ স্টাডি অনুসারে প্রতিদিন ৩-৪ কাপ করে কফি খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ কমে যায়। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

৫. টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে দূরে রাখে: ২০০৯ সালে হওয়া একটি গবেষণা অনুসারে দিনে ৩-৪ কাপ কফি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমে যায়। আসলে কফিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান উনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে।

Related Posts

Leave a Reply