May 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দুধ এবং দারচিনি একসঙ্গে খেলে কি সুফল পেতে পারেন জানেন?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধের সঙ্গে যখন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ দারচিনিকে মিশিয়ে খাওয়া হয়, তখন শরীরের নানাবিধ উপকার হয়, যে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দুধ এবং দারচিনি একসঙ্গে খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন…

১.শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়: দেহের অন্দরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরকে নানাবিধ জটিল রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শরীরে যাতে এই উপাদানটির ঘাটতি কখনও না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিদিন দারচিনি মেশানো দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে এই পানীয়টির অন্দরে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকে এই উপাদানটি। তাই তো নিয়মিত এটি পান করা শুরু করলে রোগ ভোগের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি সার্বিকভাবে শরীরের সচলতাও বৃদ্ধি পায়।

২. শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়: গত কয়েকদিনে যেভাবে কলকাতা সহ সারা রাজ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, তাতে এই পানীয়টি খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুধ এবং দারচিনি এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঠান্ডাঘটিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

৩. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধি দুধের সঙ্গে দারচিনি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে বোন ডেনসিটি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড় এতটা শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: এদিক-সেদিকে খাওয়ার কারণে কি গ্যাস-অম্বলে একেবারে কাবু হয়ে পরেছেন? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই দারচিনি মেশানো দুধ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। আসলে এই পানীয়টির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মেটাবলিজ রেট বাড়াতেও সাহায্য করে। ফলে বদ-হজমের সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে: পরিবারে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে কি? তাহলে বন্ধু সময় থাকতে থাকতেই এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। আসলে দুধ এবং দারচিনি, উভয়ই শরীরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না।

৬. দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি মিশ্রিত দুধ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে। সেই সঙ্গে দাঁতে পোকা লাগা বা ক্যাভিটির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, মুখ গহ্বরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা কমাতেও এই প্রানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে: অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে আজ থেকেই এই পানয়ীটি খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন ওজন কমাতে একেবারেই সময় লাগবে না। আসলে দারচিনি শরীরে প্রবেশ করার পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। আর এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে ক্যালরির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে কমে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও।

৮.গলা ব্যথা কমায়: ঠান্ডার সময় তাপমাত্রা ওঠা নামা করার কারণে গলায় ব্যথা এবং সেই সঙ্গে জ্বর,সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো এই সময় দুধ এবং দারচিনিকে সঙ্গে রাখা মাস্ট! আসলে দুধের সঙ্গে দারাচিনি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে গলার ব্যথা এবং জ্বরের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।

৯. অনিদ্রা দূর করে: দিনের পর দিন কি রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না? তাহলে তো বন্ধু এখনই সাবধান হতে হবে। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক মতো ঘুম না হলে ব্রেনের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক অবসাদ এবং স্ট্রেসের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো ইনসমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমাতে আজ থেকেই এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ দারচিনি এবং দধ একসঙ্গে যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন মস্তিষ্কের অন্দরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে ঘুম অসতে সময়ই লাগে না। এই কারণেই তো রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি খাওয়ার পরামর্স দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Posts

Leave a Reply