May 24, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

শ্রীরাম সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে আপনি অবাক হবেন!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
ব উৎসবের মতোই ভারতের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব হল রাম নবমী। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী ভগবান শ্রীরাম এই দিনটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তরা এই দিনটিকে রাম নবমী হিসেবে পালন করে থাকে। বাকি উৎসবের মতোই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মেনে এই উৎসবটি পালন করা হয়। গোটা দেশ মেতে ওঠে রাম নবমী উদযাপনে। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক ভগবান রাম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। শ্রীরাম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
১) রাম হিন্দু ধর্মের অন্যতম দেবতা। শ্রীরামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। পাশাপাশি অন্যতম অবতার হিসেবে কৃষ্ণের সঙ্গেও রাম-কে বিবেচনা করা হয়।
২) রাম হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। পৃথিবীতে তাঁর অবতার, আদর্শ এবং মহত্বের সঙ্গে সংযুক্ত ঘটনাগুলির মূল বিবরণ রয়েছে রামায়ণে। তাঁর জীবনকে কেন্দ্র করে রচিত ধর্মীয় গ্রন্থগুলি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতিতে একটি গঠনমূলক উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩) ভগবান রামের নাম দিয়েছিলেন এক বিশিষ্ট মহর্ষি, যিনি রঘু রাজবংশের গুরু ছিলেন।
৪) বিষ্ণুর সহস্রনাম এর মধ্যে ৩৯৪ তম স্থানে রয়েছে ভগবান রামচন্দ্রের নাম।
৫) রামের মূল ভক্ত ছিলেন হনুমান, যিনি নিষ্ঠা এবং সঠিক কর্মের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
৬) শ্রীরামচন্দ্রের স্ত্রী সীতাকে সিঁথিতে সিঁদুর পরতে দেখে ভক্ত হনুমান তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সীতা জানান, রামের দীর্ঘায়ু কামনাতেই তিনি সিঁদুর পরেন। এরপর, হনুমান তাঁর রামভক্তিকে ব্যক্ত করতে সারা গায়ে সিঁদুর মাখতে শুরু করেন।
৭) সীতার স্বয়ংবর সভা চলাকালীন ভগবান রাম ‘হরধনু’ অর্থাৎ শিবের ধনুকটি তুলেছিলেন এবং ভেঙেছিলেন। তবে এই ঘটনাটি কেবল তুলসী দাস রচিত রামায়নে বর্ণিত রয়েছে। বাল্মিকী রচিত রামায়ণে এই সত্যটি প্রমাণিত নয়।
৮) জানা যায়, যে ধনুকটি ভেঙে রাম সীতাকে জয় করেছিলেন, রামায়ণ থেকেই জানা যায়, সেই হরধনু নাকি সীতা যখন তখন তুলতে পারতেন।
৯) ভগবান রামচন্দ্র যে ধনুকটি ব্যবহার করতেন তার নাম ‘শারং’। এই ধনুক এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি একটি সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীকে নিঃশেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখত।
১০) রামায়ণ অনুযায়ী, মন্থরা ছিলেন কৈকেয়ীর দাসী। তার পিঠে একটি কুঁজ ছিল। শৈশবে ভগবান রাম একবার খেলতে খেলতে খেলনা দিয়ে মন্থরার কুঁজে আঘাত করেছিলেন। সেই থেকেই মন্থরা রামকে অপছন্দ করতেন এবং প্রতিশোধস্পৃহায় জ্বলতেন। যখন রাজা দশরথ কৈকেয়ীর সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে বর দিতে সম্মত হলেন তখন কৈকেয়ী মন্থরার পরামর্শে যথাসময়ে বর নেবেন এই কথা দেন। দশরথ, জ্যেষ্ঠপুত্র রামের রাজ্যভিষেক করার মনস্থ করলে মন্থরার পরামর্শে কৈকেয়ী বর দুটি চেয়ে নেন। প্রথমটি হলো রামের বদলে রাজা হবেন তার ছেলে ভরত এবং দ্বিতীয়টি হলো রামকে ১৪ বছরের জন্য বনবাসে পাঠাতে হবে। পিতৃসত্য পালনের জন্য রামচন্দ্র বনবাসে গিয়েছিলেন।
১১) শ্রীরামচন্দ্র যখন বনবাসে গিয়েছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে সীতা(রামের স্ত্রী) ও লক্ষণ(রামের ভাই)-ও ছিলেন। ১২) জানা যায়, ১৪ বছরের বনবাসে লক্ষণ একদিনও ঘুমোননি। কারণ, বনবাসে যাওযার আগে তিনি নিদ্রা দেবীর কাছে বর চেয়েছিলেন যাতে ১৪ বছর তাঁর ঘুম না আসে।

Related Posts

Leave a Reply