May 20, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

প্রতিদিন ৩ টে ডিম? কী হতে পারে জানা আছে?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
কিছু বছর আগে পর্যন্তও মনে করা হত বেশি ডিম খাওয়া শরীরে পেক্ষ একেবারেই ভাল নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে, যা শরীরের নানাভাবে ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু এই ধরণা ইতিমধ্য়েই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। উল্টে চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিন ১ টা নয়, কম করে ৩ টে ডিম খান। দেখবেন একাধিক রোগের প্রকোপ একেবারে কমে যাবে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিন্তু প্রশ্নটা সেই রয়েই গেল। দিনে কটা ডিম খাওয়া যেতে পারে। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে শরীরকে সুস্থ রাখতে দিনে কম করে ৩ টে ডিম খাওয়া জরুরি। এই পরিমাণ ডিম খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. শরীরে কখনও পুষ্টির অভাব হয় না: ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ই, বি৬, বি১২, থিয়ামিন, রিবোফ্লেবিন ফলেট, আয়রণ, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম প্রভৃতি উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. শরীরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্র বৃদ্ধি পায়: এক সময় মনে করা হত ডিম খেলে শরীরে বাজে কোলস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। একথা ঠিক যে ডিম শরীরে প্রবেশ করলে কোলেস্টেরল বাড়ে, কিন্তু সেটা খারাপ কোলেস্টেরল নয়, ভাল কোলেস্টেরল বা এইচ ডি এল। প্রসঙ্গত, শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
৩. কোলিনের যোগান ঠিক রাখে: মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশপাশি স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে কোলিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ডিমের মধ্যে। এবার বুঝতে পারছেন তো প্রতিদিন ৩ টে করে ডিম খেলে কতটা উপকার পাওয়া যায়।
 ৪. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: ডিমে রয়েছে লুটিন, জিজেনন্থিন, ক্যারোটিনয়েড ভিটামিন। এই সব কটি উপাদানই দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমনকী প্রবীণদের নানাবিধ চোখের সমস্যা কমাতেও ডিম দারুন ভাবে সাহায্য করে। সেই কারণেই তো ৮-৮০ এর প্রতিদিন ডিম খাওয়াটা এতটা জরুরি।
৫. পেশির ক্ষমতা বাড়ায়: প্রায় মাংসের সমান প্রোটিন থাকে ডিমে। তাই তো প্রতিদিন দুটো করে ডিমের খুসুম খেলে পেশির স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে শরীরের গঠন আরও ভাল হতে শুরু করে।
৬. হাড় আরও শক্তপোক্ত হয়: হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ক্যালসিয়ামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর হাড়ে যাতে ঠিক মতো ক্যালসিয়াম শোষিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে ভিটামিন-ডি। আর এই দুটি উপাদানই প্রচুর মাত্রায় রয়েছে ডিমে। এবার বুঝতে পারছেন তো কেন চিকিৎসকেরা প্রতিদিন ৩ টে করে ডিম খাওয়ার পক্ষে সাওয়াল করেন।
৭. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে: একথা সকলেরই জানা আছে যে খাবর যত কম খাওয়া যাবে, ওজন কমবেন তত তাড়াতাড়ি। তাই তো ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সকাল সকাল ডিম খেলে পেটটা এতটাই ভরে যায় যে সারা দিন কম কম খাবার খেতে ইচ্ছা করে। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৮. স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া যায়, তাহলে স্টোকের আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। তবে ডায়াবেটিকরা ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে ভুলবেন না।
৯. অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিপূর্ণ: শরীর যাতে ঠিক মতো প্রোটিনকে কাজে লাগাতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে অ্যামাইনো অ্যাসিড। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে ডিমে। তাই তো প্রতিদিন ডিম খেলে প্রোটিনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।

Related Posts

Leave a Reply