May 17, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

বাঁচতে ‘সাইনবোর্ড শাস্তি’!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মেরিকার গ্যাব্রিয়েল ইউরেনা। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পা এলাকার ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে তিনি মাথা নিচু করে বসে আছেন। তার হাতে একটি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা, আমি নারীদের মারধর করি। আমি যদি ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকি, তবে জোরে জোরে হর্ন বাজান।
ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে এভাবে দোষ স্বীকার করার ঘটনা সত্যিই বিরল। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতেই নিজের জন্য রাস্তার মোড়ে ‘সাইনবোর্ড শাস্তি’কে বেছে নেন ইউরেনা। জেনে নেয়া যাক ঘটনার বিস্তারিত।
অ্যালিসিয়া হেসলার নামে এক মহিলা ইউরেনার বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। এরপর তিনি শাস্তি হিসেবে দুটি পথ বাতলে দেন তাকে। প্রথমটি ছিল, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ। আর দ্বিতীয় শাস্তি হিসেবে রাস্তার মোড়ে ‘আমি নারীদের মারধর করি…’ লেখা সাইনবোর্ড হাতে নিয়ে ৮ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। ইউরেনা দ্বিতীয়টিকেই বেছে নিলেন।
হেসলারের দুই পুরুষ বন্ধু ইউরেনাকে তাদের সঙ্গে নাইট-ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফেরার পথে ইউরেনা হেসলারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। হেসলার রাজি না হয়ে ইউরেনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। কিন্তু এতেও নিবৃত্ত করা যায়নি ইউরেনাকে। আবারও ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করেন তিনি। বিরক্ত হয়ে ইউরেনার গালে চড় মারতে বাধ্য হন হেসলার। ব্যর্থ ইউরেনা হেসলারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে পালিয়ে যান।
এর পরের দিন হেসলার অভিযোগ করেন পুলিশে। জানান, সেদিন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় হেসলারকে। হেসলার দাবি করেন, ইউরেনা নামের ওই ব্যক্তি তাকে প্রচণ্ড মারধর করেন। এতে তার নাক ভেঙে যায় এবং মাথায় আঘাত পান।
এদিকে পুলিশে অভিযোগ করার পর হঠাৎই ফেসবুকে হাজির হন ইউরেনা। যোগাযোগ হয় তাদের দুজনের। হেসলার তাকে দুটি পথ বাতলে দেন। একটি হলো, পুলিশে আত্মসমর্পণ, অন্যটি ব্যস্ত রাস্তায় ওই সাইনবোর্ড হাতে ৮ ঘণ্টা বসে থাকা।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে দ্বিতীয় পথটিই বেছে নেন ইউরেনা। এদিকে হাতে সাইনবোর্ড নিয়ে ব্যস্ত সড়কে মোড়ে  ৮ ঘণ্টা বসে থাকার পর হেসলার পুলিশের কাছ থেকে তার অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন।

Related Posts

Leave a Reply