May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

শত চেষ্টা করেও দিনদিন মোটা এবং দুর্বল হয়ে পরছেন? এই অভ্যাসগুলি এক্ষেত্রে দায়ী নয় তো!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
য়নার সামনে নিজেকে বেশ স্বাস্থ্যবান দেখতে লাগে? সারাজীবন এমনটাই কি থাকতে চান? তাহলে এখনই ত্যাগ করুন বেশ কিছু অভ্যাস, যা অবচেতন মনে আপনি প্রত্যেকদিন করে চলেছেন। এর ফলে অজান্তেই শরীরে জমছে মেদ আর হয়ে পরছেন দুর্বল। তাই তো সুস্থ-সবল শরীর পেতে যে কোনও মুল্যে প্রতিদিনকার লাইফস্টাইল পাল্টে ফেলুন।
সবসময় শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ প্রতিদিনকার জীবনযাপনে এমন কিছু অভ্যাস থাকে, যা আমাদেরকে ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। সেই সঙ্গে ক্লান্তি যেন রোজের সঙ্গী হয়। অন্যদিকে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা কাজ করার কারণেও শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পারে।
এখন প্রশন হল কী কী অভ্যাসের কারণে আমাদের শরীরে এমন মারাত্মক ক্ষতি হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. প্ল্যাস্টিক বোতলে জল খাওয়া:
রাস্তার ধারের দোকান থেকে রেস্টরেন্ট, এমনকী বাড়ি থেকে ট্রেনে দূরপাল্লার যাত্রা- সব জায়গাতেই জলের ঝটপট বন্দোবস্ত মানেই প্ল্যাস্টিক বোতল। তবে, কখনও কি ভেবে দেখেছেন প্ল্যাস্টিক বোতলের ব্যবহারে কি মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে আমাদের শরীরের? “এক্সপোজার টু বিসফেনল এ ইজ অ্যাসোসিয়েটেড উইথ রিকারেনট মিসকারেজ” শীর্ষক গবেষণাপত্রে দেখা গেছে প্ল্যাস্টিক বোতলে থাকে বিসফেনল এ (বিপিএ),যা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ওজন বৃদ্ধির পিছনেও দায়ি থাকে প্ল্যাস্টিক বোতলের ব্যবহার।
২. গ্রিন টি খাওয়া অভ্যাস করুন:
চা আমরা কমবেশি সকলেই খাই। তবে, শরীরকে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে গ্রিন টি- এর দারুণ আবদান আছে। গ্রিন টি-এর মধ্যে আছে ক্যাটেচিন্স, অর্থাৎ প্রাকৃতিক ফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজমে সাহায্য করে। একইসঙ্গে সাহায্য করে অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরাতেও। তাই সুস্থ থাকতে সপ্তাহে অন্তত তিন কাপ গ্রিন টি পান করা আবশ্যিক।
৩. দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া:
অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া, দুশ্চিন্তা, বদহজম এগুলি সবই এখন রোজের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ হল, দেরি করে ঘুমনো অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া।
৪. খাওয়া কমিয়ে ওজন হ্রাসের চেষ্টা করা উচিত নয়:
আমরা অনেকেই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু শুধুমাত্র খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে ডায়েটিং করা উচিৎ না। কারণ, আমাদের শরীরে নানারকম শাকসব্জির যেমন প্রয়োজন আছে, তেমনি প্রয়োজন আছে মাছ, মাংস জাতীয় খাবারগুলিরও। তাই ডায়েটিং মানেই ইচ্ছামতো খাওয়া কমানো নয়। এতে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
৫. প্রচুর খাবার খাওয়া:
শুধুমাত্র বাড়িতে রান্না করে খাচ্ছেন বলেই একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নেবেন তা কিন্তু নয়। মনে রাখবেন, বাড়িতে বানানো খাবারেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। আর অতিরিক্ত ক্যালোরি আমাদের শরীরের জন্য মোটেও উপকারী নয়। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণ মানে অবশ্যই পরিমাণ মতো খাবার, যা প্রোটিন, খাদ্যশস্য এবং ফ্যাট দ্বারা পরিপুষ্ট।
৬. নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকুন:
সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত নিজের চেকআপ করান। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক খাদ্যগ্রহণ করুন। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে পুষ্টিকর উপাদানের অভাব যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৭. স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট শরীরের প্রয়োজনঃ
ফ্যাট মানেই যে শরীরের পক্ষে খারাপ তা কিন্তু নয়। শরীরের জন্য যেমন ট্রান্স ফ্যাট অর্থাৎ ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস অত্যন্ত ক্ষতিকর, তেমনি স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট আমাদের শরীরের প্রয়োজন। এই জন্য নিয়মিত ফ্ল্যাক্স সিড, বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ, যা আমাদের ওজন কমায় আর শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৮. রেস্টরেন্টের খাবার বর্জন করুন:
রেস্টরেন্টে গিয়ে যখন খাবারের অর্ডার দিই তখন আমাদের সেই খাবারের খাদ্যগুণ নিয়ে কোনও ধারণা থাকে না। এছাড়া হোটেলের খাবারকে সুস্বাদু বানাতে গিয়ে অতিরিক্ত তেল, লবন এবং মশলা মেশানো হয়, যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাই রেস্টরেন্টে যদি খেতেই হয় তাহলে অনুরোধ করুন, যাতে আপনার অর্ডার দেওয়া খাবারটি কম তেলে বানানো হয়।
৯. সোডা অত্যন্ত ক্ষতিকরক:
খুব গরমে,পার্টিতে, এমনকী ঘুরতে যাওয়া সময়ও আমাদের সঙ্গী হয় কোল্ড ড্রিঙ্কস। কিন্তু জানেন কি কোল্ড ড্রিঙ্কসেই লুকিয়ে আছে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান। এমন পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে সোডা থাকে, যা মূলত ক্যারামেল যুক্ত। এই সোডার কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে দুরারোগ্য ক্যান্সার। এছাড়াও, আমাদের অনেকেরই খুব প্রিয় লেবুর গন্ধওয়ালা সোডা, যার মধ্যে থাকে থাকে ব্রমিনেটেড ভেজিটেবল অয়েল, যা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের হার বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের ক্ষতি সাধন করে।
১০. কুকিস খাওয়া বন্ধ করুনঃ
খিদে পেলেই ইচ্ছা মতো কুকিজ খেয়ে ফেলেন? মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কুকিজ তো লো-ফ্যাট খাবার, তাহলে ক্ষতি কিসের? আসলে কুকিজে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো হয়। এছাড়াও দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য মেশানো হয় ক্ষতিকর পদার্থ বা অ্যাডিটিভস। তাই কুকিজ না খেয়ে এমন খাবার খান, যা খেলে অল্পতেই পেট ভরবে, কিন্তু শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না।
১১. অরগানিক খাদ্য গ্রহণ করুন:
বর্তমানে শরীরের সবথেকে বেশী ক্ষতি করে সারযুক্ত খাবার। এর ফলে আমরা যখন সেই খাদ্য গ্রহণ করি, এর ফলাফল হিসাবে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে নানারকম রোগ। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে অরগানিক পদ্ধতিতে চাষ করা সবজি, মাছ এবং মাংস খান।
১২. তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন:
খুব ব্যস্ত হয়ে খাবার খান? মানে একেবারে নাকে-মুখে গুঁজে অফিসে দৌড়? তাহলে শরীরের বারোটা বাজাচ্ছেন আপনি। খাওয়ার সময় হাতে সময় নিয়ে খান। যতটা সম্ভব চিবিয়ে, ধীরে ধীরে খান। এতে আপনার হজমেও সুবিধা হবে।
১৩. সঙ্গে রাখুন হেলদি স্ন্যাক্স:
আমরা নিজেরাও জানিনা হঠাৎ করে কখন খিদে পায়। তাই ফাস্ট ফুডের সাহায্য না নিয়ে ব্যাগে রাখুন কাঠ বাদাম, লবণহীন কাজু অথবা আপেল, কলা, চিয়া বীজের বার ইত্যাদি।

Related Posts

Leave a Reply