May 17, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সারাদিন কুল-কুল, কি সর্বনাশ ডাকছেন জানেন ?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বাড়ি থেকে অফিস, মাঝে উবার-ওলাতেও এখন ফুরফুরে ঠান্ডা হওয়ার মাঝে থাকার অভ্যাস দাঁড়িয়ে গেছে আমাদের। তাতে হয়তো গরমের ঝাঁঝ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে, কিন্তু শরীরের যে বারোটা বেজে যাচ্ছে, সেদিকে কি খেয়াল রয়েছে আপনাদের? হয়তো একটু বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে “এসি” যতটা না আরাম দেয়, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি করে। আর একথা একাধিক গবেষণাতেও প্রমাণ হয়ে গেছে। তাই যেসব নব্য় যুবার প্রমাণ ছাড়া কোনও কিছু গ্রহণ করতে চান না তাদেরও একথা বিশ্বাসস করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে ৮ ঘন্টা এসি-এর মধ্যে থাকলে সাধারণত যে যে শারীরিক ক্ষতিগুলি হয়ে থাকে, সেগুলি হল…

১. ক্লান্তি বোধ বেড়ে যায়: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ এসিতে বসে কাজ করলে ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা এবং সেই সঙ্গে ক্লান্তি বোধ বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এখানেই শেষ নয়। এসির কারণে মিউকাস মেমব্রেনে ইরিটেশন এবং শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আপনাদেরও কি এমন সব শারীরিক কষ্ট হয় নাকি?

২. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া: এসি নিমেষে আমাদের ত্বকের অন্দের থাকা তেলকে শুষে নেয়। ফলে স্কিন শুষ্ক হতে শুরু করে। যেমনটা শীতকালে হয়ে থাকে। আর একথা তো কারও আজানা নেই যে দীর্ঘ সময় ত্বক শুষ্ক থাকতে থাকতে এক সময় গিয়ে একাধিক ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৩. রোগের প্রকোপ বাড়ায়: আপনি কি কোনও কারণে অসুস্থ রয়েছেন? তাহলে যতটা সম্ভব এসি থেকে দূরে থাকুন। না হলে কিন্তু কষ্ট বাড়বে বৈ কমবে না। শুধু তাই নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ সময় এসির মধ্যে থাকলে ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া, আর্থ্রাইটিস এবং সারা শরীর যন্ত্রণা হওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

৪.শ্বাস কষ্ট: এসি চালাতে গেলে দরজা-জানলা খোলা সম্ভব নয়। মানে অফিস ফ্লোরে আলো-বাতাসের প্রবেশ মানা। আর এমনটা হওয়া মাত্র কি হয় জানেন? জীবাণুদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় সমগ্র অফিস। সেই সঙ্গে মাইক্রো-অর্গানিজিমের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ফলে ক্রনিক শ্বাস কষ্ট, সর্দিকাশি, নিউমনিয়া এবং সংক্রমণের মতো রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৫. গরম সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়: সারাক্ষণ এসিতে থাকতে থাকতে আমাদের শরীর এতটাই ঠান্ডা প্রিয় হয়ে যায় যে হলকা গরমেই হাসফাঁস করতে থাকে প্রাণ। ফলে হিট স্ট্রেকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, একটি কেস স্টাডি চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছিলেন শহরাঞ্চলের মানুষদের গরম সহ্য় করার ক্ষমতা আজকাল এতটাই কমে গেছে যে তাপমাত্র ৪০ ডিগ্রি পেরলেই হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ শরীরের তাপ সহ্য় করার ক্ষমতা এখন আর আগের মতো নেই। এসির দৈলতে তা কমতে কমতে এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে।

Related Posts

Leave a Reply