May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

শোওয়ার ধরনেই কেল্লা ফতে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

সারাদিন খাটাখাটুনির পর রাতে কয়েক ঘণ্টা শান্তির ঘুম আমাদের সবারই দরকার। ঘুম আমাদের ক্লান্তি দূর করে, শরীরকে চাঙ্গা রাখে। আমাদের শরীর অসুস্থ হলে আমরা ভাবি হয়তো ঘুম কম হয়েছে বলে সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত সঠিক ডায়েট, শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম স্বাস্থ্য ভালো রাখার চাবিকাঠি, এমনটা সবার ধারণা।

ঘুম অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ঘুম সঠিকভাবে হওয়াটা জরুরি। আপনি কতটা ঘুমোচ্ছেন, কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, কেমন বিছানায় ঘুমোচ্ছেন সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ভাবছেন তো এগুলো কীভাবে মেনে চলবেন? আপনাদের সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই আর্টিকেলে।

কতরকমভাবে মানুষ ঘুমায়? 

পাশ ফিরে ঘুমোনো বা একদিকে কাত হয়ে ঘুমোনো চিত হয়ে ঘুমোনো উপুড় হয়ে ঘুমোনো একদিকে কাত হয়ে ঘুমোনো বেশিরভাগ মানুষই একদিকে পাশ ফিরে শুতে অভ্যস্ত। কেউ ডান দিকে কেউ আবার বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমোন।

গবেষকরা বলেন, বাম দিকে ফিরে ঘুমোলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এটাই ঘুমোনোর সঠিক পজিশন। বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমোলে হজম ভাল হয়। অম্বলের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এই পজিশনে ঘুমোলে। বামদিক বা ডানদিকে পাশ ফিরে ঘুমোলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পাশ ফিরে ঘুমোলে নাক ডাকা, নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।

যারা এইভাবে ঘুমোতে পারেন না, তাদের জন্য রয়েছে কিছু টিপস। 

একটি বালিশ নিয়ে দুটি হাঁটুর মাঝখানে রাখুন। এতে পাশ ফিরে ঘুমোনোর অভ্যাস তৈরি হবে। বালিশ জড়িয়ে ঘুমোলে হাতের ওপর অংশের বিশ্রাম হয়, মেরুদণ্ড সাপোর্ট পায়। একদিকে পাশ ফিরে ঘুমোলে কাঁধের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আবার এইভাবে ঘুমোনোর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। এভাবে ঘুমোলে বালিশের সঙ্গে মুখ লেগে থাকে। বালিশে ধূলো-ময়লা থাকলে সেগুলো মুখে লেগে যায়। ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বালিশের কভার পরিষ্কার রাখা উচিত।

চিত হয়ে ঘুমোনো 

চিত হয়ে ঘুমোনোর কতগুলো ভাগ আছে। অনেকে একদম সোজা হয়ে হাত দুটো দু’পাশে রেখে ঘুমোন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পজিশনে ৮ শতাংশ মানুষ ঘুমোন। এইভাবে যারা ঘুমোন তারা শান্ত স্বভাবের হন। অনেকে চিত হয়ে স্টারফিশের মতো ঘুমোন। এই পজিশনে হাত দুটো থাকে মাথার পাশে। ৫ শতাংশ মানুষ এইভাবে ঘুমোন।

চিত হয়ে পিঠের ওপর ভর দিয়ে ঘুমোনোর কিছু বেনিফিট আছে। 

এভাবে ঘুমোলে হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাত-পা ছড়িয়ে চিত হয়ে ঘুমোলে জয়েন্টে চাপ পড়ে না।

উপুড় হয়ে ঘুমোনো 

সাত শতাংশ মানুষ পেটের ওপর ভর দিয়ে ঘুমোন। পেটের ওপর ভর দিয়ে হাত দুটো বালিশের ওপর রাখুন। মুখ যেকোনও একদিকে থাকবে।

উপুড় হয়ে বা পেটের ওপর ভর দিয়ে ঘুমোনোরও কিছু ভালো দিক আছে। 

এভাবে ঘুমালে মেরুদণ্ডের ওপর চাপ পড়ে না। ফলে ব্যাক পেন এবং ঘাড়ের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এইভাবে ঘুমোলে মস্তিষ্ক হয় বহির্গামী। এই ধরণের পজিশনে যারা ঘুমান তারা সমালোচক হন।

ফেটাল পজিশন 

পাশ ফিরে হাঁটু ভাঁজ করে শুতে পছন্দ করেন অনেকে। ৪১ শতাংশ মানুষ এভাবে ঘুমান। তবে খুব বেঁকে শুলে শ্বাস নিতে অসুবিধে হতে পারে। আর্থ্রাইটিস বা পিঠের ব্যথায় যারা ভোগেন, তারা এই পজিশনে শুলে ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি দুই পায়ের মাঝে বালিশ দিয়ে শুতে পারেন। ঘুম মানুষকে শান্তি দেয়, মন ভালো রাখে। তবে সঠিক ভঙ্গিতে না শুলে বিপদ হতে পারে। তাই শুতে হবে নিয়ম মেনে।

Related Posts

Leave a Reply