ব্যায়াম করার আগে জেনে তো নিন সপ্তাহে কয়দিন ও কতক্ষণ শরীরের উপযুক্ত ?
কলকাতা টাইমস :
এটি এখন আর কারো অজানা নেই যে, সক্রিয় থাকা অথবা ব্যায়াম করা হলো স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুস্থ থাকতে অথবা শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। কিন্তু আপনার কতটুকু ব্যায়াম করা উচিত? এটি মূলত নির্ভর করছে আপনার ফিটনেস লক্ষ্যের ওপর। এছাড়া বিবেচনা করার মতো আরো কিছু বিষয় রয়েছে।
ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিবেচনা করার জন্য কিছু সাধারণ নীতি রয়েছে, বলেন পার্সোনাল ট্রেইনার টম ম্যানস। তিনি দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘আপনি কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন তা নির্ভর করছে আপনার শারীরিক ক্ষমতা, ফিটনেস লক্ষ্য, পছন্দ-অপছন্দ, যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা, আপনার কোন ধরনের ইনজুরি রয়েছে এবং আপনি কতটুকু সময় দিতে পারবেন তার ওপর।’
দুর্ভাগ্যজনক সত্য এই যে, সপ্তাহে এক বা দুবার জিমে গেলে তেমন কোনো উপকার পাবেন না। প্রতিসপ্তাহে চার অথবা পাঁচ সেশন হলো আদর্শ। ম্যানস বলেন, প্রকৃত ফলাফল দেখতে হলে আপনাকে প্রতিসপ্তাহে অন্তত তিনবার জিমে যেতে হবে। তিনি যোগ করেন, ‘ঘনঘন জিমে গেলে আপনি পুরো সপ্তাহ জুড়ে পর্যাপ্ত ট্রেইনিং স্টিমিউলাস বা ব্যায়াম করার জন্য প্রণোদনা পাবেন, যার ফলে আপনার শরীর অধিক নমনীয়, অধিক শক্তিশালী, অধিক চর্বিমুক্ত ও অধিক ফিট হতে পারবে।’
ম্যানস বলেন, ‘ব্যায়ামের প্রতি সেশনের স্থায়িত্ব ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা হওয়া উচিত।’ তার পছন্দের রুটিনে ১০ মিনিট ওয়ার্ম-আপ, ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ওয়েট ট্রেইনিং এবং পাঁচ থেকে ১০ মিনিট কুল ডাউন ও স্ট্রেচিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কন্ডিশনিং সেশন ও ইন্টারভ্যাল ট্রেইনিংয়ের ক্ষেত্রে ৩০ মিনিটই সর্বোত্তম।
ম্যানসের মতে, একদিন ওয়েট লিফটিং বা ভারোত্তোলন করে পরেরদিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত, এতে মাংসপেশি রিকভার করার সময় পাবে। কিন্তু প্রতিবার আপনার শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশকে দিয়ে ভারোত্তোলন করলে একদিনের বিশ্রাম প্রয়োজন নেই।