চিকেন স্যুপ না খেলে কি হতে পারে জানেন?
১. শরীরকে শুদ্ধ করে: তরলের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এই খাবারটি খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইউরিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এমনটা হলে শরীরের অন্দরে জমে থাকা বিষ বা টক্সিক উপাদানও বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ফলে সুস্থ শরীর পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: চিকেন স্যুপ বানাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ মুরগির মাংস ছাড়াও ব্যবহার করা হয় অনেক ধরনের সবজি, যা নানা ভিটামিন এবং মিনারেলে পরিপূর্ণ থাকে। ফলে এই খাবারটি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ধীরে ধীরে এমন শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে রোগ ভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৩. শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে চিকেন স্যুপ খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে শ্বেত রক্তি কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে প্রদাহ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো অ্যাস্থেমা, গলায় ব্যথা এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হলে গরম গরম চিকেন স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৪. ওজন কমায়: এই খাবারটি খেলে শরীরের অন্দরে প্রোটিনের পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট এবং উপকারি ফ্যাটের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে কমে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও।
৫. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: চিকেন উপস্থিত উপকারি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বরে করে দেয়। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। এবার বুঝেছেন তো হার্টের রোগীদের কেন চিকেন স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৬.প্রদাহ কমায়: নানা কারণে আমাদের শরীরের ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এমনটা হওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ ঠিক সময়ে যদি প্রদাহ কমানো না যায়, তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল প্রদাহ কমানোর উপায় কী? এক্ষেত্রে নিয়মিত চিকেন স্যুপ খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায় কিন্তু! কারণ এতে থাকা একাধিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন থাকে।
৭. রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: বেশ কিছু গবেষমায় দেখা গেছে চিকেন স্যুপে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার ধমনী এবং শিরার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে রক্তের প্রবাহ এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে রক্তচাপ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, মুরগির মাংসের মধ্যে থাকা কোলাজেন নামক একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮. স্ট্রেস কমায়: মুরগির মাংসে থাকা ট্রাইপটোফ নামক এক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আসলে সেরাটোনিন হল এক ধরনের ফিল গুড হরমোন। এই কারণেই তো এই হরমেনাটির ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হতে থাকলে মন আনন্দে ভরে যায়।
৯. হাড়ের রোগকে দূরে থাকে: চিকেনে যে যে পুষ্টিকর উপাদানগুলি মজুত থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এই দুটি উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের মারাত্মক উন্নতি ঘটায়। ফলে বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।