April 26, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

রানি ভিক্টোরিয়ার মেয়ের সিগারেটের টাকা এখনও বকেয়া!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : প্রিন্সেস লুইজ, রানি ভিক্টোরিয়ার চতুর্থ কন্যা। তিনি ১৯৩৯ সালে মারা যান এবং তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। তবে যে তথ্যটা জানলে আপনি অবাক হবেন সেটা হলো তিনি নাকি লন্ডনের একজন সিগারেট বিক্রেতার কাছে সিগারেট কেনার ১৫ শিলিং বকেয়া রেখেই মারা যান।

তার কাছে সিগারেট কেনার জন্য অর্থ পেতো বাকিংহ্যাম প্যালেস এবং সেন্ট লুইস প্যালেসের মাঝামাঝিতে অবস্থিত আরলেউইস লিমিটেড নামের এটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি নথিপত্র ঘেঁটে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ বছরের শুরুর দিকে প্রিন্সেস লুইজের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল আর্কাইভ ইন কেইউ। ইতিহাসবিদরা বলছেন, কারও ব্যক্তিগত নথিপত্র প্রকাশ করার বিষয়টি বেশ ব্যতিক্রমী, যেহেতু এসব নথি সাধারণত সিল করা থাকে।

বিখ্যাত শিল্পী হিসেবেও পরিচিত এই রাজকুমারী ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া ও প্রিন্স আলবার্টের ষষ্ঠ সন্তান এবং চতুর্থ কন্যা। নিজের আলাদা ধরনের জীবনযাত্রার জন্য তার বেশ পরিচিত ছিল।

নথিপত্র অনুযায়ী, মারা যাওয়ার সময় প্রিন্সেস লুইজ ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৬০ পাউন্ড, ১৮ শিলিং এবং ছয় পেন্স রেখে যান, বর্তমানের হিসাবে যার মূল্য ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তবে সিগারেট কেনার ১৫ শিলিংয়ের দাম বকেয়াই থেকে যায়। এই দেনার কারণ হয়তো তখনকার জনপ্রিয় সিগারেট ৩০০ প্লেয়ারর্স অথবা উডবাইনস, যদিও নথিপত্রে উল্লেখ নেই যে- রাজকুমারী কোন ব্রান্ডের সিগারেট খেতেন।

প্রিন্সেস লুইসের জীবনীকার লুসিন্দা হকসলে বলছেন, প্রিন্সেস নিয়মিত সিগারেট খেতেন, তবে তার মা সেটি পছন্দ না করায় মায়ের কাছ থেকে সবসময়ে সেটি লুকিয়ে রাখতেন। যখন তার ভাই অ্যাডওয়ার্ড টু ১৯০১ সালে রাজা হন, তখন তিনি প্রথমবারের মতো রাজকীয় প্রাসাদের স্মোকিং কক্ষে সিগারেট খাওয়ার সুযোগ পান।

রাজকীয় জীবনযাপন নিয়ে বইয়ের লেখক মাইকেল ন্যাশ বলছেন, এসব নথিপত্রের মাধ্যমে ত্রিশের দশকের একজন রাজকুমারীর জীবনযাপন সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।

হকসলের ধারণা, প্রিন্সেস লুইজের একজন অবৈধ সন্তান ছিল, যিনি তার মায়ের স্ত্রী রোগ চিকিৎসকের ছেলে দত্তক নিয়েছিলেন। তবে এসব নথিপত্রে তার কোন উল্লেখ নেই, যদিও তার কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া অনেকের নাম রয়েছে।

উইল অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক তে রোডাস শর কাছে ৫২৫ পাউন্ড দেনা রেখে গেছেন প্রিন্সেস লুইজ। তবে উইলে উল্লেখ করা হয়নি যে, ড. রোডাসের কাছ থেকে তিনি কী চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী ছিলেন প্রিন্সেস লুইজ। হকসলের দেয়া তথ্য মতে, নিজের ‘স্লিম ফিগার’ ধরে রাখতে বেশ আগ্রহী চিলেন প্রিন্সেস লুইজ। তিনি বলছেন, প্রিন্স ফিলিপের মা প্রিন্সেস অ্যালিস বলেছেন, ‘প্রিন্স লুইসের সঙ্গে একদিন তিনি ডিনারে বসেছিলেন, সেখানে তিনি বাঁধাকপির মাত্র কয়েকটি টুকরো খেয়েছিলেন।’

প্রিন্সেস লুইস একজন গুণী শিল্পীও ছিলেন। তার নির্মিত রানি ভিক্টোরিয়ার ভাস্কর্য এখনও কেনসিংটন প্যালেসে রয়েছে এবং সে সময়ের প্রধান সারির অনেক শিল্পীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। কেনসিংটন প্যালেসের বড় একটি অ্যাপার্টমেন্টে তিনি থাকতেন, যেখানে এখন প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার পরিবার বসবাস করে।

Related Posts

Leave a Reply