এখনই খাওয়া শুরু করুন কলার খোসা, উপকার চমকে দেবে
কলকাতা টাইমস :
আপনাদের জানা আছে কি কলার খোসাকে কাজে লাগিয়ে একাধিক রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব! কি কথাটা শুনে অবাক হলেন নাকি? বন্ধু অবাক হবেন না। কারণ একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে কলার খোসা খাওয়া যায় এবং এমনটা করলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, ফাইবার এবং একাধিক পুষ্টিকর উপাদান শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণ এবং পেটের রোগকেও দূরে রাখে। এখানেই শেষ নয়, কলার খোসা খাওয়া শুরু করলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে বাকি প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
১. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কলার খোসায় রয়েছে একাধিক অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপাটিজ, যা শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সার সেলেদের ধ্বংস করে দেয়। ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, কলার খোসায় বেশ কিছু সাইটোপ্রোটেকটিভ এজেন্টেও থাকে, যা এই ধরনের রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. ওজন হ্রাস পায়: ফাইবার শুধু কোলেস্টেরল কমায় না। সেই সঙ্গে ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে। আসলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। ফলে বেশি মাত্রায় খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যারা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এইভাবে কলার খোসা ওজন কমাতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
৩. অবসাদের প্রকোপ কমে: কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় সেরোটনিন, যা নিমেষে মন ভাল করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সম্প্রতি তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে হওয়া একটা গবেষণা অনুসারে টানা তিন দিনে যদি ২ টো করে কলার খোসা খাওয়া যায় শরীরে সেরোটনিনের মাত্রা প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে অবসাদের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৪. শরীরকে বিষ মুক্ত করে: কলার খোসা, কোলোনে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, যা ধীরে ধীরে শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূর করে।
৫. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়: ট্রাইপটোফেন নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে কলার খোসায়, যা ঘুম আসতে সাহায্য় করে। তাই তো যারা অনিদ্রার শিকার, তারা আজ থেকেই কলার খোসা খোয়া খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৬. লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি দূর হয়: শরীরে যাতে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা হ্রাস না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখে কলার খোসা। ফলে অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭. দেহের অন্দরে প্রদাহ কমায়: দেহের অন্দরে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে এই প্রাকৃতিক উপাদনটি একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে জয়েন্টে সৃষ্টি হওয়া ইনফ্লেমেশনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে জয়েন্টের ব্যথায় কাবু হয়ে পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৮. শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে: ফাইবার, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে কলার খোসায়। তাই তো যারা এমন রোগে ভুগছেন, তাদের এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতেই হবে। কারণ ভুলে যাবেন না, কোলেস্টেরল একা আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে হাজারো মারণ রোগকে। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়াটা জরুরি।
৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: কলার খোসায় রয়েছে লুটিন নামে একটি উপাদান, যা দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।