May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

রেকর্ড দামে বিক্রি হলো আইফেল টাওয়ারের সিঁড়ি !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমসঃ

ইফেল টাওয়ার। ১৮৮৯ সালে ফরাসি ডিজাইনার গুস্তভ ইফেলের নকশায় নির্মিত এই সুউচ্চ টাওয়ারটি বিশ্বের পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ফ্রান্সে এসে অধিকাংশ পর্যটকেরই আগ্রহ থাকে লিফটে চড়ে টাওয়ারের চূড়ায় উঠে প্যারিসের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার৷

আইফেল টাওয়ার যখন নির্মিত হয় তখন তাতে কোনও লিফট ছিল না, ছিল লোহার সিঁড়ি৷ ১৯৮৩ সালে পর্যটকদের সুবিধার জন্য লিফট চালু করা হয়। লিফট স্থাপনের সময় টাওয়ারের সিঁড়ির ২৪টি অংশ সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর এ সিঁড়ির দু’টি খণ্ড প্যারিসের ওরসে মিউজিয়াম ও সিটি অব সায়েন্সেস মিউজিয়ামে রাখা হয়। বর্তমানে এই সিঁড়ির অংশ রয়েছে জাপানের ইয়োইশি ফাউন্ডেশনের বাগানে, নিউ ইয়র্কে স্ট্যাচু অব লিবার্টির কাছে ও ফ্লোরিডার ‘ডিজনিল্যান্ডে’। এ ছাড়া আইফেল টাওয়ার’র সিঁড়ির কিছু অংশ মাঝে মাঝে আকাশচুম্বি দামে নিলাম করা হয়।

এরকমই একটি অংশ তৃতীয় ও চতুর্থ তলার সংযোজক সিঁড়ি বিক্রয়ের জন্য প্যারিসের বিখ্যাত উদ্যান শঁজেলিজেতে ফরাসি নিলামঘর আর্টকিউরিয়ালে গত ২০ দিন ধরে প্রদর্শিত হয়। নিলাম সংস্থা আর্টক্যুরিয়াল ধারণা করেছিল এবার সিঁড়ির টুকরো বিক্রি হবে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ডলারে। সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে সর্বোচ্চ ধর হাঁকিয়ে গত মঙ্গলবার এক লাখ ৬৯ হাজার ইউরোতে এটি লুফে নেন  মধ্যপ্রাচ্যের এক ক্রেতা। নিলাম হওয়া ঐতিহাসিক এই অংশটি এতদিন কানাডার একজনের ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। নিলাম সংস্থা আর্টক্যুরিয়াল জানায়, বিক্রি হওয়া সিঁড়ির অংশে রয়েছে ২৫টি ধাপ, ওজন ৯০০ কিলোগ্রাম।

বিশেষজ্ঞরা যত দামে বিক্রি করার আশা করেছিলেন, তার তিনগুণ দামে বিক্রি হওয়ায় এই সিঁড়ি ঘিরে বাড়ছে আগ্রহ। এর আগে এই সিঁড়িরই আরেকটি অংশ বিশেষজ্ঞদের চমকে দিয়ে দশগুণ দামে (৫ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ ইউরো) বিক্রি হয়। ১,০৬৩ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের অন্যতম প্রতীক৷ আগাগোড়া লোহায় তৈরি হবার কারণেই স্থানীয় মানুষ এই টাওয়ারকে ‘আয়রন লেডি’বা লৌহমানবী বলে ডাকেন ৷

Related Posts

Leave a Reply