May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular অন-এ-প্লেট শারীরিক

এই তেলে রান্নার গুন্ জানলে ভুলে যাবেন সর্ষে তেল 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

র্ষে বা সূর্যমুখী তেল ছাড়াও এমন অনেক ভোজ্য তেল রয়েছে, যা আপনার রান্নায় এনে দিতে পারে দুর্দান্ত স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ। রইল তেমনই কিছু তেলের সন্ধান।

১। একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ : অয়েল ভূমধ্যসাগরের চারপাশের দেশগুলিতে এই তেলে রান্নার চল খুব বেশি। ভিটামিন ই এবং বি কমপ্লেক্সে পূর্ণ এই তেল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। কিন্তু মনে রাখবেন, বেশি উত্তাপে এই তেলে রান্না করবেন না। সেক্ষেত্রে পিওর অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কাঁচা খাওয়ার জন্যও আদর্শ। সালাডের ওপর বা পাউরুটির সঙ্গে স্প্রেড হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এই তেল।

২। বাদাম তেল : এশিয়ায় এই তেলের ব্যবহার অন্য মহাদেশের তুলনায় বেশি। এই তেলর সুবিধা অনেক বেশি উত্তাপে এই তেলে রান্না করা যায়। বাদামের হালকা গন্ধ মিশে থাকে এই তেলে। ফলে খাবারেও সেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী না হলেও, একেবারেই অপকারী নয়। তবে এই তেল বেশি দিন জমিয়ে রাখবেন না। মাস খানেকে বোতল শেষ করে ফেলবেন।
৩। অ্যাভোকাডো অয়েল : অ্যাভোকাডো তেল-ও অনেক বেশি উত্তাপে রান্না করতে সক্ষম। এতে প্রচুর পরিমাণে মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এককথায় যাকে বলে, গুড ফ্যাট। বোতলের ছিপি খোলার পর ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। কিন্তু ঠান্ডা জায়গায় রাখলেই ভালো। ৫২০ ডিগ্রি এই তেলের স্মোক পয়েন্ট। ফলে অনেক বেশি উষ্ণতায় এতে রান্না করা সহজ।
৪। আখরোট তেল : আখরোট তেল আবার অ্যাভোকাডো তেলের একদম উল্টো। কারণ একটু বেশি উত্তাপেই এই তেলের স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষণধরে রান্না করলে এই তেলের স্বাদ তেঁতো হয়ে যায়। তাই খুব কম আঁচ রান্না করতে পারেন। কিংবা কাঁচা খেতে পারেন। সালাডের সঙ্গে এর জুড়ি নেই। পাস্তার ড্রেসিং হিসেবেও এইতেল ব্যবহার করতে পারেন। চকোলেট হ্যাজেলনাট স্প্রেড বানাতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
৫। নারকেল তেল এখন নারকেল তেলের জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছে। তার কারণ এই তেলের ভিতরে থাকা ফ্যাট। এটা এমন এক ধরনের ফ্যাট, যা শরীরে গেলে খুব সহজে তা শক্তি বা এনার্জিতে বদলে যেতে পারে। তাই এই তেলে বেকিং করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন, ম্যারিনেট করার কাজে এই তেলের ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ ঘরের তাপমাত্রায় বা শীতের সময় এই তেল জমে যায়। মাখন যে যে ভাবে রান্নায় ব্যবহার করেন, সেই জায়গায় নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৬। গ্রেপসিড অয়েল গ্রেপসিড অয়েলেও বেশি উত্তাপে রান্না করা যায়। তবে এটা এই তেলের একমাত্র সুবিধা নয়। এই তেলের নিজস্ব কোনও স্বাদই প্রায় নেই। ফলে প্রচুর মশলা, হার্ব বা চড়া স্বাদ-গন্ধের খাবারের রান্নায় এই তেলের ব্যবহার করতে পছন্দ করেন শেফ-রা। তাছাড়া এর পুষ্টিগুণ অ্যাভোকাডো অয়েলের মতোই। যদিও দাম ওই তেলের তুলনায় অনেকটাই কম।

Related Posts

Leave a Reply