May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সাবধান: মন খারাপের দিস্তায় হঠাৎ করে মৃত্যুও লেখা হতে পারে!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ম্প্রতি ল্যান্সেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে দীর্ঘ সময় ধরে ডিপ্রেশনের মতো রোগে ভুগলে ব্রেনের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন সেলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আর এমনটা হতে থাকলে অ্যালঝাইমারস, ডিমেনশিয়া এবং পার্কিসনের মতো জটিল মস্তিষ্কঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে আয়ুও কমে চোখে পরার মতো।
এখন প্রশ্ন হল মনকে চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়েতে কী কী খাবারকে রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে?
দই: স্কুল থেকে ফেরার পর প্রতিদিন যদি আপনার বাচ্চাকে এক বাটি করে দই খাওয়াতে পারেন, তাহলে তাদের শরীরে সরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ব্রেন পাওয়ার বেড়ে গেলে অ্যাংজাইটির মতো সমস্যা কো কমেই, সেই সঙ্গে পড়াশোনাতেও উন্নতি ঘটে।
গ্রিন টি: শরীরকে রোগ মুক্ত রাখার পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতে গ্রিন টি-এর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাকারি উপাদান শরীর থেকে সব টক্সিক উপাদানদের বের করে ব্রেনকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে মানসিক অবসাদ কমতে সময় লাগে না। 
নারকেল: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নাককেলে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ার এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।
শতমূলী: মানসিক অবসাদের কারণে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে আজ থেকেই নিয়মিত অল্প করে শতমূলী গাছের মূল থেকে বানানো পাউডার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন এমনটা করলে দারুন উপকার মিলবে। আসলে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টমকে শান্ত করার মধ্যে দিয়ে মনকে চাঙ্গা করে তুলতে এই প্রকৃতিক উপাদনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে মানসিক অবসাদের প্রকোপ কামতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানাভাবে কাজে এসে থাকে। শুধু তাই নয়, মন খারাপ, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনের মতো ভয়ঙ্কর রোগকে দূরে রাখতেও এই উফাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এমন স্ট্রেসফুল পরিবেশে নিজের মনকে চাঙ্গা রাখতে চেরি, আঙুর এবং সবুজ শাক-সবজির মতো খাবার বেশি করে খেতে হবে। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! 
পুদিনা পাতা: পুরানো দিনের আয়ুর্বেদিক পুঁথি ঘাঁটলেই জানতে পারবেন নার্ভাস সিস্টেম সম্পর্কিত নানা রোগের চিকিৎসায় কিভাবে ব্যবহার করা হত পুদিনা পাতাকে। আসলে এই পাতাটির অন্দের থাকা মেন্থল নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার এবং পটাশিয়াম মানসিক অবসাদ কমানোর পাশাপাশি ইনসমনিয়ার মতো রোগ সারাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
পালং শাক: বাঙালির প্রিয় এই শাকটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে আয়রন, এবং ফলিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শারীরিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই এবার থেকে যখনই মনটা বেশ খারাপ খারাপ লাগবে পালং শাক খাওয়া শুরু করবেন। দেখবেন উপকার মিলবে। 
রসুন: এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অন্দরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ছোট থেকেই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে হার্টের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডায়াবেটিসের মোতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
মাছ: প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই এখনও প্রতিদিন মাছ রান্নার রেওয়াজ রয়েছে, যে কারণে খেয়াল করে দেখবেন ব্রেন পাওয়ারের দিক থেকে বাঙালি অনেকের থেকেই বেশ এগিয়ে রয়েছে। আসলে মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, বি৬ এবং বি১২ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানগুলি মানসিক অবসাদের মতো রোগের আক্রমণ থেকে বাচ্চাদের বাঁচাতেও নানাভাবে সাহায্য় করে থাকে। 
টমাটো: এতে উপস্থিত লাইকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর মন খারাপকে সমূলে উৎখাত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে মানসিক অবসাদের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে না। এই কারণেই তো যাদের খুব স্ট্রেসফুল কাজ করতে হয়, তাদের প্রতিদিন একটা করে কাঁচা টমাটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। 
 বাদাম: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক। এই সবকটি উপাদান সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে কোনওভাবেই স্ট্রেস ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। 
লেবু: পাতি লেবু, কমলা লেবু এবং মৌসাম্বি লেবুর মত সাইট্রাস ফলের শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রকৃতিক সুগার, যা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ তো কমায়ই, সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো বাচ্চাদের প্রতিদিন এক বাটি করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। 
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার: নিয়মিত ব্রাউন রাইস বা হোল গ্রেনের মতো খাবার খেলে শরীরে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা নার্ভাসনেস, অ্যাংজাইটি এবং ইনসমনিয়ার মতো সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্রাহ্মি শাখ: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি য়ে কতটা সাহায্য করে থাকে, তা তো সবাই জানা। কিন্তু মানসিক অবসাদ কমাতেও যে ব্রাহ্মি নিজের খেল দেখায়, সে কথা কি জানা ছিল বন্ধুরা? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই শাকটি খাওয়া মাত্র মস্তিষ্কের অন্দরে সেরাটোনিন লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে মন এতটাই চনমনে হয়ে ওঠে যে মানসিক অবসাদ দূরে পালাতে সময়ই লাগে না।

Related Posts

Leave a Reply