May 7, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কথায় কথায় ভয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত? এই নিয়মগুলি না ভুললে ভয় পালাবে দূরে !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

বেষণা বলছে তি ৪ জন ভারতীয়ের মধ্যে ১ জন ভয় বা অ্যাংজাইটির শিকার। তাই তো বলতেই হয় যে, এখন থেকেই যদি ভয়কে শরীর থেকে বের করে দিতে না পারেন, তাহলে আগামী দিনে কিন্তু বিপদ আরও বাড়বে!
এখন প্রশ্ন হল ভয়কে হারানোর উপর কী? এক্ষেত্রে এই প্রবন্ধে আলোচিত পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না, তাহলেই দেখবেন ভয় দূরে পালাবে…

১. ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া শুরু করুন: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যখন মন ভয়ে কাঁচুমাচু হয়ে থাকে, তখন যদি ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে এবং ছাড়তে থাকেন, তাহলে মস্তিষ্কের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে। যার প্রভাবে ভয়ের প্রকোপ কমতে থাকে। তাই তো এবার থেকে যখনই মনে হবে খুব ভয় লাগছে, তখন সব ভুলে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে শুরু করবেন। দেখবেন কষ্ট কমতে সময় লাগবে না।

২. ভয়কে লিখে রাখুন: আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই যে বিষয়টি নিয়ে ভই পাই, সেটা নিয়ে এতটাই ভাবতে থাকি যে ভয় থেকে বেরনোর পরিবর্তে দুঃচিন্তার ঘেরাটোপে আটকে পরি। ফলে মন ভাল হওয়ার জায়গায় আরও খারাপ হতে শুরু করে। এক্ষেত্রে সহজ একটা পদ্ধতি বেশ কাজে আসে। কী সেই পদ্ধতি? এবার থেকে ভয় পেলেই কারণটা কাগজে লিখে রাখবেন। এমনটা করলে খারাপ চিন্তা আর আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না।

৩. ভয়কে চিনুন: নিজের প্রতিপক্ষকে যত চিনবেন, তত তাড়াতাড়ি তাকে হারাতে পারবেন। তাই কিসে আপনি ভয় পান সে সম্পর্কে জানাটা একান্ত প্রয়োজন। সেই সঙ্গে একথা বুঝতে হবে যে ভয় বা অ্যাংজাইটির কারণে আমাদের কোনও ভাল হয় না বরং পেটের রোগ, ক্রনিক শ্বাস কষ্ট, হার্টের রোগ এবং রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। আর একথা তো বলে দিতে হবে না যে এই সব রোগগুলির মধ্যে বেশিরভাগই কিন্তু মারণ রোগ। তাই সাবধান! বুকের ভিতরে ঘর বেঁধে থাকা ভয় নামক কাল নাগিনটিকে আজই মেরে ফেলুন। কীভাবে করবেন সে কাজটা? এক্ষেত্রে সচেতনতাই আপনার প্রথম হাতিয়ার হতে পারে।

৪. ডায়েট: বিশ্বাস না করলেও একথা ঠিক যে আমরা কী খাবার খাচ্ছি তার সঙ্গে আমাদের ভয় পাওয়া বা না পাওয়ার সরাসরি যোগ রয়েছে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে খাবারে উপস্থিত নানা উপাদান আমাদের শরীর এবং মনের ভারসাম্য বিগড়ে দিয়ে এমন ধরনের সমস্যাকে আবয়বে বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। তাই প্রতিদিনের ডায়েট ঝাল মশলা দেওয়া ভাজা জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে না রেখে পরিবর্তে সবজি এবং ফল খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে ভাল ফল পাবেন দেখবেন!

৫. বর্তমানে বাঁচুন: আমাদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্য়ত নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন। সেই চিন্তা কখন যে দুঃচিন্তায় এবং ধীরে ধীরে অ্যাংজাইটি বা ভয়ের আকার নেয়, আমরা তা বুঝে উঠতেও পারি না। তাই বর্তমানে বাঁচুন। এখন যেটা হাতে আছে, সেটা নিয়ে ভাবুন। ভুলে যাবেন না বুদ্ধের সেই বাণী, “অতীতে নিয়ে ভাববেন না, না ভাববেন ভবিষ্য়ত নিয়ে। বরং মনোযোগ দিয়ে বর্তমানকে আঁকড়ে ধরুন। দেখবেন তাতে সুখ মিলবে বেশি।” গৌতম বুদ্ধের এই কথাগুলি প্রতিনিয়ত মনে মনে বলতে থাকুন। কিছুতে ভয় লাগলেই সে সম্পর্কে পরিবারের বাকি সদস্য়দের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। আর যদি এমনটা করতে মন না চায়, তাহলে ভগবানের নাম নিন। বই পড়ুন বা পছন্দের কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলুন। তাহলেই দেখবেন ভয় আর আপনার মনকে বসে আনতে পারবে না।

৬.মস্তিষ্কের খেলাকে চিনুন: আমাদের মন এবং মস্তিষ্কে প্রতিনিয়ত খারাপ ভাবনা এবং ভাল ভাবনার মধ্যে লড়াই চলতে থাকে। যখন যখন খারাপ ভাবনা জিতে যায়, তখনই আমাদের মনে ভয় নিজের জায়গা করে নেয়। হাইপনোসিস পদ্ধতিটি হল, সব সময় ভাল কিছু ভাবতে হবে। যত ভাল ভাবনা দিয়ে আমরা আমাদের মন এবং মস্তিষ্ককে ভরিয়ে তুলতে পারবো, তত খারপ ভাবনা দূরে পালাবে, সেই সঙ্গে পালাবে ভয়ও।

৭. টিভি দেখুন বা বই পড়ুন: ভয়ের সময় সেই নিয়ে ভাবার পরবর্তে মনকে ভোলানোর চেষ্টা করুন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই পদ্ধতিটি। যখনই দেখবেন নানা ধরনের দঃচিন্তা মনকে কাবু করে ফেলছে, তখনই সিনেমা দেখবেন অথবা বই পড়বেন বা নিজের পছন্দের কোনও কাজে জড়িয়ে পরবেন। এমনটা করলেই দেখবেন ভয়ের কারণ থেকে দূরে সরে আসছে মন। যত মন আর ভয়ের মধ্যে দুরত্ব বাড়বে, তত আপনার শারীরিক এবং মানসিক অস্বস্তি কমতে শুরু করবে।

৮. ভয়কে বন্ধু বানান: যে কারণে ভয় পাচ্ছেন, সেই ভবনাটাকে প্রশ্রয় না দিয়ে ভাবুন এই ভয়ের করণে আপনার জীবনে কী কী ভাল হতে চলেছে। যেমন ধরুন অনেকে লোক সমাজে কথা বলতে ভয় পান। এক্ষেত্রে ভয়ের কথা না ভেবে ভাবতে থাকুন, যে সুযোগটা আপনি পেয়েছেন তা অনেকেই পায় না, তা হল নিজের মনের কথা হাজারো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ। এমনটা বারে বারে ভাবতে থাকলেই দেখবেন ভয় আপনার কাজে লাগে লাগছে, আপনাকে আর বিপদে ফেলছে না। সহজ কথায় ভয়কে কাজে লাগিয়ে এগতে হবে। একবার পিছিয়ে যাবেন তো সারা জীবন ভয় অপনার পিছু ছাড়বে না।

Related Posts

Leave a Reply