May 8, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ঘাম ঝরালেও এর অদ্ভুত সত্যি জানেন কি 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ফিটনেস ঠিক রাখতে ঘাম ঝরানো অতি জরুরি বিষয়। ব্যায়ামের পর যখন ঘাম ঝরে তখন আসলে কি ঘটে। এ নিয়ে আমরা তেমন কিছুই জানি না। এখানে বিশেষজ্ঞরা ঘাম নিয়ে নানা অদ্ভুত তথ্য দিয়েছেন।

১. নারী-পুরুষের ঘাম ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বের হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ গড়ে নারীর চেয়ে চারগুণ বেশি ঘেমে থাকেন। এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ছেলেদের ঘামের প্রবণতা বেশি। তাই সামান্য পরিশ্রমেই ঘেমে যান ছেলেরা। কিন্তু নারীদের ঘামতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত অজানা। তবে সম্ভবত হরমোনঘটিত পার্থক্যের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।

২. অনেকের ধারণা, বেশি বেশি ঘাম বের হওয়া ক্ষতিকর। কিন্তু সত্যটা ভিন্ন। যাদের ঘাম বেশি তারা অন্যদের চেয়ে বেশি ফিট থাকেন বলে প্রমাণ মিলেছে। তা ছাড়া ঘামের কারণে দেহ অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে না।

৩. ঘামের বৈশিষ্ট্যের ওপর বংশগত প্রভাব স্পষ্ট। ঘামের ওপর প্রভাববিস্তার করে এক জেনেটিক মলিকিউল যার নাম হিস্টোকম্প্যাটাবিলিটি কমপ্লেক্স। এই মলিকিউল সৃষ্টিতে জেনেটিক বিষয়টি জড়িত।

৪. ঘামের পেছনে মোটা কাপড় বা আবহাওয়ার পরিবর্তন কারণ হতে পারে। তবে এটা আরো বড় কোনো সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে। হাইপারহাইড্রোসিস এক ধরনের সমস্যা যা ঘাম উৎপাদনকারী গ্রন্থি অস্বাভাবিক ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। আবার কিছু মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই ঘামতে পারেন। হাইপারহাইড্রোসিসের কারণে হাতের তালু, পায়ের পাতা, বগল এবং মুখ ঘামতে পারে।

৫. অ্যান্টিপারস্পাইরান্টস এমন এক যৌগ যা ঘামের গ্রন্থিকে ঘাম উৎপাদনে বাধা দেয়। এটি আসলে রাতে ব্যবহার করা ভালো। কারণ দিনে মাখলে পানির সংস্পর্শে তা কার্যকারিতা হারাতে পারে।

৬. ঘাম সব সময় এক নয়। দুই ধরনের ঘামের গ্রন্থি ক্রিয়াশীল থাকে আমাদের দেহে। একটি একরিন গ্রন্থি এবং অপরটি অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি। একরিন গ্রন্থি পানির মতো ঘাম উৎপাদন করে। এতে কেবল পানি ও ঘাম থাকে। আর অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি এমন স্থানে ঘাম উৎপাদন করে যেখানে চুলের অস্তিত্ব থাকে।

Related Posts

Leave a Reply