May 19, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বাথরুম নোংড়া মানে নিশ্চিত কষ্ট পেতে পেতে মরতে হবে!!!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সাবধান ! গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক মতো বাথরুম পরিষ্কার না করলে স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, যে কারণে গলায় ব্যথা, স্কার্লেট ফিবার, এমনকি নানাবিধ ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে অনেক সময়ই লেজুড় হয় হেপাটাইটিস এ, স্টিফাইলোকক্কাস এবং ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া। আর এই সব জীবাণুর কারণে শরীরের যে কতটা ক্ষতি হয়ে যায়, তা নিশ্চয় আর বলে বোঝাতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু, নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের এমন ক্ষতিকারণ ব্যাকটেরিয়াদের খপ্পর থেকে বাঁচাতে এই লেখাটি একবার পড়ে ফেলতেই হবে।
আসলে এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধিত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে টয়লেট এবং বাথরুম পরিষ্কার করলে নিমেষে ক্ষতিকর জীবাণুরা মারা পরে। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, বাথরুম পরিষ্কার করতে এক্ষেত্রে যে যে উপাদানগুলিকে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেগুলি হল…
১. বেকিং সোডা এবং অ্যামোনিয়া: বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করতে বেকিং সোডা এবং অ্যামোনিয়ার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ২ কাপ গরম জলে ৩ চামচ বেকিং সোডা এবং হাফ কাপ বাড়িতে ব্যবহার্য অ্যামোনিয়া মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে নিতে হবে। তারপর বাথরুমের মেঝেতে মিশ্রনটি ছড়িয়ে দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, এইভাবে সপ্তাহে ৩-৪ দিন বাথরুম পরিষ্কার করলে জাবীণু তো মরবেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ কেমিকেলের পিছনে টাকা খরচের পরিমাণও যে কমবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
২. অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট: একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! কমোড পরিষ্কারের জন্য অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে একটা গ্লাসে জল নিয়ে তাতে ২ টো ট্যাবলেট ফেলে দিয়ে কম করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে মিশ্রনটি কমোডের চারিপাশে ছড়িয়ে দিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিতে হবে। তারপর ভাল করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে কমোডটা। প্রসঙ্গত, হাতের কাছে যদি অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট না থাকে, তাহলে ভিটামিন সি ট্যাবলেটও ব্যবহার করতে পারেন।
৩. মাউথ ওয়াশ: হাতের কাছে টয়লেট ক্লিনার নেই তো কী! মাউথ ওয়াশ তো আছে! কমোড পরিষ্কার করতে অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটের মতোই মাউথ ওয়াশও দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে হাফ কাপ মাউথ ওয়াশ কমোডে ফেলে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ব্রাশের সাহায্যে ভাল করে ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে কমোডটা। রিলেশনশিপে এই সমস্যাগুলি দেখা দিচ্ছে? তাহলে বুঝবেন আপনাদের সম্পর্কে দীর্ঘ মেয়াদী হবে না
৪. ঠান্ডা পানীয়: কোল্ড ড্রিঙ্কের সাহায্যে যে কমোড পরিষ্কার করা যায়, সে কথা নিশ্চয় এতদিনে অনেকেই জেনে গেছেন। আসলে এমন ধরনের পানীয়তে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা নিমেষে ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফলে। তাই এবার থেকে কমোড পরিষ্কার করার সময় অল্প পরিমাণে কোল্ড ড্রিঙ্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে এক কাপ কোল্ড ড্রিঙ্ক নিয়ে কোমডে ফেলে কম করে ৩০-৬০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ব্রাশ দিয়ে ভাল করে ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৫. বেকিং সোডা এবং লেবুর রস: বাথরুমে উপস্থিত জীবাণুদের মেরে ফলতে এই দুটি উপাদানও দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ২ চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস, সঙ্গে অল্প করে ভিনিগারও মিশিয়ে দিতে পারেন। এবার একটা হলকা ভিজে কাপড়, মিশ্রনটিতে চুবিয়ে ভাল করে বাথরুমটা মুছে ফেলতে হবে। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে বাথরুমটা। প্রসঙ্গত, এই মিশ্রনটির সাহায্যে সিঙ্ক, কমোড এবং বাথরুমের দরজাও পরিষ্কার করতে পারেন।
৬. বেকিং সোডা, ভিনিগার এবং টি-ট্রি অয়েল: সম পরিমাণে এই তিনটি উপাদান মিশিয়ে বানানো মিশ্রন, কমোডে ফেলে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ব্রাশ দিয়ে ভাল করে ঘষে নিয়ে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এমনটা করলে ক্ষতিকর সব জীবাণুরা নিমেষে মারা পরে। ফলে কোনও ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।

Related Posts

Leave a Reply